এক দিকে কিংবদন্তিরা বিদায় নিতে শুরু করেছেন, অন্য দিকে ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে তরুণদের হাত ধরে। এক দিকে যখন চেতেশ্বর পূজারা-বিরাট কোহলিরা দেখাচ্ছেন, ভারতীয় ক্রিকেটকে টানার মতো চওড়া হয়েছে তাঁদের ব্যাট, তখন অন্য দিকে উন্মুক্ত চাঁদ-রবিকান্ত সিংহরা দেশকে তুলে দিচ্ছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে।
হায়দরাবাদে ধোনি টস হারার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে টস হেরেছিল দলের অধিনায়ক উন্মুক্ত। আর চেতেশ্বর পূজারার সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার আগেই সবাই জেনে যায়, সেমিফাইনালে ৯ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে চলে গিয়েছে ভারতীয় যুব দল। আগামী রবিবার, ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের শেষে উচ্ছ্বসিত ভারত অধিনায়ক উন্মুক্ত চাঁদ বলে, “আমাদের স্বপ্ন সত্যি হল।” সঙ্গে যোগ করে, “ফাইনালে উঠতে পারাটা অসাধারণ অনুভূতি। এটা সম্ভব হল আমাদের অসাধারণ টিমওয়ার্কের জন্যই।” |
গোটা দলকে কৃতিত্ব দিলেও আজকের জয়ের পিছনে বোলারদের ভূমিকার আলাদা প্রশংসা শোনা গিয়েছে অধিনায়কের গলায়। বিশেষ করে দুই স্পিনার হরমীত সিংহ (২-৩০) ও বাবা অপরাজিতের (১-২৯) কথা আলাদা করে উল্লেখ করে উন্মুক্ত বলেছে, “এই দু’জন আমাদের দলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য। দু’জনেই এই টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে।” এক উইকেট নেওয়ার পাশে তিন নম্বরে নেমে গুরুত্বপূর্ণ সময় ৪৪ রানের ইনিংস খেলার জন্য কোয়ার্টার ফাইনালের মতো আজও ম্যাচের সেরা হলেন তামিলনাড়ুর অপরাজিত।
তবে দুই স্পিনারের জয়জয়কারের মধ্যেও নজর কাড়লেন বাংলার পেসার রবিকান্ত সিংহ। ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় কোনোর নেয়নেসকে তিনি যে ইয়র্কারে এ দিন বোল্ড করলেন, সবাই একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন, সেটাই ম্যাচের সেরা ডেলিভারি। রবিকান্তের শিকার এ দিন ২ উইকেট, ৪৯ রানের বিনিময়ে।
শেষ ওভারে জেতার জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১৮ রান। ৯ রান দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারতের মিডিয়াম পেসার সন্দীপ শর্মা (২-৩৬)। তবে দুই স্পিনার বাবা অপরাজিত এবং হরমীত নিজেদের মধ্যে কুড়ি ওভার বল করে ৫৯ রান দিয়ে নেয় তিন উইকেট।
সকালে দুই ওপেনার প্রশান্ত চোপড়া (৫২) আর উন্মুক্ত (৩১) প্রথম উইকেটে ৫১ তোলার পরে উন্মুক্ত ফিরে যান। এর পরে অপরাজিত নামেন। কিন্তু এই তিন জন বাদে নিউজিল্যান্ড আক্রমণের সামনে ভারতের আর কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি। ভারতের ২০৯-৯ স্কোরের জবাবে নিউজিল্যান্ড ইনিংস শেষ হয় ২০০-৯। |