এ বার থেকে বটানিক্যাল গার্ডেনে ঢুকতে হবে খালি হাতে। এমনই আদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও অসীমকুমার মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ দর্শকদের জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করার পাশাপাশি গার্ডেন কর্তৃপক্ষের জন্যও কয়েকটি নির্দেশ জারি করেছে।
দর্শনার্থীদের ব্যাগ, প্যাকেট বিনামূল্যে জমা রাখার জন্য বটানিক্যাল গার্ডেনে একটি মাল-ঘর তৈরি করতে বলেছে আদালত। এর পাশাপাশি, বাইরের খাবার নিয়ে বাগানে ঢোকাও নিষেধ হল। তবে একটি জলের বোতল সঙ্গে রাখা যাবে। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, অনেক সময়ে প্রাতর্ভ্রমণকারী ও দর্শনার্থীরা বাগানের মূল্যবান ঔষধী ও দামি গাছের ক্ষতি করেন। গাছগুলি রক্ষা করতে এ বার বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কথা বলেছে আদালত। অন্য দিকে, ২৫ বছর ধরে বাগানের ২৪টি লেকের আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে এবং গঙ্গার সঙ্গে লেকের সংযোগ করার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক সময়ে কলকাতার দর্শনার্থীরা বাবুঘাট থেকে লঞ্চ ধরে বটানিক্যাল গার্ডেন ঘাটে যেতেন। পোর্ট-ট্রাস্ট সেই লঞ্চ চালাত। সে ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাগান কর্তৃপক্ষ ফের ওই লঞ্চ পরিষেবা চালু করতে চান কি না, তা জানিয়ে এ দিন হলফনামা দিতে বলেছে আদালত।
বটানিক্যাল গার্ডেনের প্রাচীন বটগাছটির শাখা-প্রশাখা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাগান কর্তৃপক্ষকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে তারা যেন ওই বর্ধিত শাখা-প্রশাখাগুলিকে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন। বাগানের মধ্যে ১০টি পুরনো বাড়ি রয়েছে। সেগুলির ভগ্নপ্রায় অবস্থা। আদালত এ দিন নির্দেশ দেয়, কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরকে শীঘ্র জানাতে হবে ওই বাড়িগুলি হেরিটেজ না পরিত্যক্ত। সেই অনুযায়ী বাড়িগুলি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগান কর্তৃপক্ষ কোনও আদেশ কার্যকরী করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হলে পুলিশ যেন যথাযথ সহযোগিতা করে, সে বিষয়েও হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদেশগুলি কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষ কী পরিকল্পনা করেছেন, তা তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। |