সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমের তিনটি প্রধান পর্যটন -অরণ্যে পর্যটকদের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপতে চলেছে। ফলে সঙ্কটে পড়েছে রাজ্যের পর্যটন -অর্থনীতি। কাজিরাঙার হোটেল মালিক, ভ্রমণ সংস্থা, জিপ -সাফারি সংস্থাগুলির মাথায় হাত। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও অসন্তোষ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এক দিকে, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ‘ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি’ বা এনটিসিএ এবং কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্য দিকে, কাজিরাঙার ‘কোর’ ও ‘বাফার’ হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত এলাকাগুলি ফের পর্যালোচনা করে দেখার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করেছে রাজ্য বন দফতর। |
কাজিরাঙার হাতি সাফারি। এই সুযোগ আর কত দিন,
প্রশ্ন সেটাই। রাজীবাক্ষ রক্ষিতের তোলা ছবি। |
বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তীকালীন আদেশ নিয়ে এখনই এতটা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি চক্র মানুষকে ভুল বুঝিয়ে গণ্ডগোল বাধাতে চাইছে। আমরা কাজিরাঙায় পর্যটন বন্ধ হতে দেব না। কেন্দ্রের কাছে আবেদন করার পাশাপাশি, বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভাবা হচ্ছে।” রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল সুরেশ চাঁদ বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। ব্যাঘ্র প্রকল্প ও অন্যান্য সংরক্ষিত অরণ্যে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিধিনিষেধে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন। স্থানীয় মানুষ ও অন্যান্য সংগঠনের সাহায্য ছাড়া সংরক্ষণের কাজ সম্ভব নয়। তাদের সঙ্গে নিয়েই আমাদের চলতে হবে।”
বনদফতর সূত্রে খবর, মানস, কাজিরাঙার ক্ষেত্রে কোনটি ‘কোর’ এলাকা, কতখানি অবধি ‘বাফার’ এলাকা তা ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট রয়েছে। কাজিরাঙার ক্ষেত্রে কোহরার মিহিমুখে হাতি চড়ার পাটাতনটিও ‘কোর’ এলাকার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, ‘কোর’ ও ‘বাফার’ এলাকার সীমা ঢেলে সাজতে রাজ্য সরকার নতুন করে কমিটি গঠন করেছে। রাজ্য সরকারের তরফে এনটিসিএ -র কাছে আবেদন করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় রাজ্যের মতামতগুলিও যেন আদালতের সামনে রাখা হয়। চূড়ান্ত শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের অ্যাটর্নি ফার্মের প্রতিনিধিদেরও হাজির থাকতে বলা হয়েছে। |