|
|
|
|
হিংসায় মদতের অভিযোগ, অসমে ধৃত বড়ো বিধায়ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ধুবুরির বরকান্দা আকাদেমির ত্রাণ শিবিরে দাঁড়িয়েই বিপিএফ বিধায়ক প্রদীপ ব্রহ্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী। অবশেষে বুধবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে গ্রেফতার করা হল ওই বিধায়ককে। এ নিয়ে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা ছড়ালেও পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসনের দাবি। এর মধ্যেই অসম সফররত কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব শম্ভু সিংহ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী অসমে ঢুকে সেখানে অশান্তি বাধিয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। অসমে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ৩১০টি ওয়েবসাইটকে ব্লক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অসমে অশান্তির গোড়া থেকেই পশ্চিম কোকরাঝাড়ের বিপিএফ বিধায়ক প্রদীপ ব্রহ্মর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সনিয়া গাঁধী ধুবুরির বরকান্দা আকাদেমির ত্রাণ শিবির সফরের সময়ও শরণার্থীরা তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, বড়ো জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে ওই বিধায়ক মোয়ামারির কিছু বাড়িতে আগুন দেন। সনিয়া মুখ্যমন্ত্রীকে প্রদীপবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। বিধায়ককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে কোকরাঝাড়ে ট্রেন অবরোধ চলে। শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ, জারি রয়েছে কার্ফু। বাক্সা জেলায় ৩টি দেহ উদ্ধার ঘিরে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত। বুধবার রাতে প্রদীপবাবুর বরাগাড়ির বাড়িতে যায় পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতার করে সার্কিট হাউসে রাখা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ৭টি (১২০বি, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৪৩৬, ৪২৭, ৩৭৯, ৫০৬) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আদালত প্রদীপবাবুকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
আজ সকাল ৭টা থেকে জেলায় কার্ফু জারি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু, কার্ফু অগ্রাহ্য করেই প্রদীপবাবুর মুক্তির দাবিতে রেল ও পথ অবরোধ শুরু করেন তাঁর সমর্থকেরা। নিউ আলিপুরদুয়ার, আলিপুরদুয়ার, বঙ্গাইগাঁও-সহ বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন। পরে, জেলা প্রশাসন ও বিপিএফ নেতাদের হস্তক্ষেপে সওয়া ১টা থেকে ট্রেন চালু হয়।
রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের জোট শরিক বিপিএফ-এর ১২ জন বিধায়ক রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রিসভায় বিপিএফ-এর এক মাত্র সদস্য পরিবহনমন্ত্রী চন্দন ব্রহ্ম ও বিপিএফ নেতা রিহন দৈমারি ও মানেশ্বর ব্রহ্ম দিসপুরে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সঙ্গে দেখা করেন। চন্দনবাবু বলেন, “প্রদীপ ব্রহ্ম নির্দোষ। তিনি সম্প্রীতি রক্ষার চেষ্টাই করছিলেন। সরকারের ভূমিকা দুঃখজনক।” |
|
|
|
|
|