টুকরো খবর |
জমি বিল ঝুলিয়েই রাখল কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
জমি বিলের চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিসভায় পেশ করেও তাতে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখল মনমোহন সিংহ সরকার। শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের আপত্তিতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর সংসদে জমি বিলটি পেশ করা হয়েছিল। তার পর তা বিবেচনা করে তিন মাস আগে সংসদে রিপোর্ট পেশ করেছিল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পরামর্শ বিবেচনা করে জমি বিলে ফের কিছু পরিবর্তন করে নতুন খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। নতুন বিলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে, ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ এবং সে জন্য ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও পুনঃস্থাপনের অধিকার বিল ২০১১’। আজ মন্ত্রিসভায় ওই বিলটি অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়। সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, বিলটির চূড়ান্ত খসড়া নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু আপত্তি রয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিল্পের জন্য সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের অধিকার থাকবে রাজ্যের হাতে। এতেই আপত্তি ইউপিএ-র দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দলের। কেন না বেসরকারি শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে রাষ্ট্রের অধিকার বিলোপের পক্ষে গোড়া থেকেই সওয়াল করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানান, সংসদের চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাশ করাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু খসড়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু আপত্তি থাকায় মন্ত্রিসভা আজ বিলটিতে অনুমোদন দেয়নি। শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
|
নিষিদ্ধ পল্লি তুলে পুনর্বাসনের প্রস্তাব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
যৌনকর্মীদের পুনর্বাসন দিয়ে শিলচর থেকে নিষিদ্ধ পল্লি তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। কাছাড়ের জেলাশাসক হরেন্দ্রকুমার দেবমহন্ত জানান, “শহরের বুকে এ ধরনের বেআইনি কারবার চলতে পারে না।” তবে তিনি পুলিশ লাগিয়ে যৌনকর্মীদের তাড়িয়ে দেওয়ারও পক্ষপাতী নন। বিশেষ করে, এই বিষয়ে যখন সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে, তখন সেই স্রেফ উৎখাত করাটা প্রসাসনের পক্ষেও বেআইনি কাজ হয়ে যাবে। তাই তাদের পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেবমহন্ত বলেন, “সমাজ কল্যাণ দফতরকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কতজন যৌনকর্মী রয়েছেন, তাঁদের বয়স, শারীরিক অবস্থা ইত্যাদি নানা তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি সমীক্ষা চালানো হবে। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করা হবে।” পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা জানান, “দেশে কোনও নিষিদ্ধ পল্লিরই রেজিস্ট্রেশন নেই, থাকতে পারে না। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, যৌনকর্মীরা অপরাধী নয়, তারা পরিস্থিতির শিকার। ফলে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। শিলচরে পুনর্বাসনের বিষয়েই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, শিলঙের এক যুবতী এই নিষিদ্ধ পল্লি থেকে গত বছর পালিয়ে গিয়ে মেঘালয়ের এক এনজিও-র দ্বারস্থ হয়। তারা মামলা করে। ওই মামলার সূত্রে মেঘালয় পুলিশ শিলচর পুলিশের সহায়তায় দু’দফায় চার যুবতী এবং এক শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিষয়টি শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় কমিশনের নজরে আসে। জাতীয় কমিশন রাজ্য কমিশনকে তা তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব দেয়। তাদের পরামর্শেই জেলা প্রশাসন যৌনকর্মীদের পুনর্বাসন দিয়ে শিলচর থেকে নিষিদ্ধপল্লিটি পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
|
ডাইনি অপবাদে খুন দম্পতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ডাইনি অপবাদে এক দম্পতিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পলামুর নাওডিহা থানার গোরহ জঙ্গল থেকে কাল ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁদের নাম: জগদীশ ভুঁইয়া (৫৫) এবং সুকনি দেবী (৪৪)। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় ডাঙরডিহা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই দম্পতি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ওই দম্পতির ঘনিষ্ঠতাও ছিল না। ক’দিন ধরে জগদীশবাবু ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছিল। মঙ্গলবার রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে এক দল গ্রামবাসী জগদীশ ভুঁইয়ার বাড়িতে চড়াও হয়। দরজা ভেঙে তারা ঘরে ঢোকে। জগদীশবাবু এবং তাঁর স্ত্রীকে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে তারা গোরহ জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে দুজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরই মধ্যে, রাঁচি সংলগ্ন খুঁটিতে কাল রাতে দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হয়েছেন আদিবাসী কৃষক পরিবারের এক যুবক। গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছে আরও এক তরুণ। খুঁটি জেলার পুলিশ সুপার এম তামিলাভানন জানান, নিহতের নাম সুখরাম মুন্ডা (২২)। গুলিতে জখম বিজয় মুন্ডা আর এক যুবককে রাঁচির সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনাটি ঘটে খুঁটি জেলার মুরহু থানার মারংহাড়া গ্রামে। মাঠের কাজ সেরে গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই যুবক ঘরে ফিরছিলেন। সেই সময় সশস্ত্র একদল দুষ্কৃতী অতর্কিতে তাদের উপরে আক্রমণ চালায়। গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সুখরাম। গুলিতে গুরুতর জখম হন সঙ্গী বিজয়। হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, কে বা কারা ঠিক কী উদ্দেশে ওই হামলা চালিয়েছে এখনও স্পষ্ট নয়। এলাকাটি জঙ্গি প্রভাবিত হলেও এই ঘটনায় তাদের হাত থাকার প্রমাণও মেলেনি।
|
ত্রিপুরায় ধৃত ৪ নাগা জঙ্গি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
গণ্ডাছড়া হয়ে নাগাল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার সময়ে ত্রিপুরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ল চার এনএসসিএন (আইএম) জঙ্গি। গত কাল আমবাসার পুলিশ নাগাল্যান্ডের এই জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের আনাগোনার খবর পেয়ে আমবাসার কচুছড়া ট্রাই-জংশনে অপেক্ষা করছিল। সমস্ত অভিযানটির নেতৃত্ব দেন আমবাসার এসডিপিও মায়াজয় রূপিণী। সন্দেহজনক একটি গাড়িকে ধাওয়া করে পুলিশ ধরে ফেলে চার এনএসসিএন জঙ্গিকে। এরা হল জনি নতুমা, নখডং লাম, মনম কইনাক এবং কিভেন ডমিনিক। ধৃত কিভেন ডমিনিকের বাড়ি মণিপুরে। বাকি তিন জন নাগাল্যান্ডের।
পুলিশ জানায়, বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে এনএসসিএনের বিট্টার ক্যাম্পে ধৃত জঙ্গিরা ছিল। ওই ডেরাতে এনএসসিএনের অন্য সদস্যরাও থাকত। কিন্তু ক্যাম্প কমান্ডারের দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে ওই চার জঙ্গি প্রতিবাদ করে। ১৫ অগস্ট এক সংঘর্ষে ক্যাম্প কম্যান্ডার বস এবং তার সঙ্গী আপামকে খুন করে তারা পালিয়ে আসে। সঙ্গে নিয়ে আসে দু’টি স্নাইপার রাইফেল, একটি এ কে-৪৭ রাইফেল, একটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল, একটি পিস্তল, ৩৫টি গ্রেনেড। রাস্তায় তারা অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে লুন্ঠিত অস্ত্রগুলি বিক্রি করে তিন লক্ষ টাকায়। তারপর তারা ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তের রাইস্যাবাড়ি সংলগ্ন এলাকা দিয়ে এ রাজ্যে ঢোকে গত ২১ অগস্ট। কালাঝড়িতে এক রাত কাটিয়ে গত কাল গণ্ডাছড়া থেকে শিলচর যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে। আমবাসায় পৌঁছতেই পুলিশের জালে পড়ে তারা। জঙ্গিদের কাছ থেকে পুলিশ ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও আটক করা হয়েছে কিছু বাংলাদেশি টাকা এবং চারটে মোবাইল ফোন। এনএসসিএন-এর চার জঙ্গির গ্রেফতারের ঘটনাটি ত্রিপুরা পুলিশ নাগাল্যান্ড পুলিশকে জানিয়েছে। চার জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
|
মানেসর কাণ্ডকে অপরাধমূলক তকমা সুজুকির |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সপ্তাহখানেকের ভারত সফরে এসে মানেসর কাণ্ডকে অপরাধমূলক কার্যকলাপ বলেই আখ্যা দিলেন সুজুকি মোটরের চেয়ারম্যান ওসামু সুজুকি। মারুতি ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ছাঁটাই কর্মীদের ফেরানোর দাবি খারিজ করে দেন।
বুধবার এ দেশে পা রাখার পরে বৃহস্পতিবারই পুলিশ প্রহরায় গুড়গাঁওয়ে আসেন। প্রথমে সুজুকি মোটরসাইকেল ইন্ডিয়ার ও তার পরে মারুতি-সুজকির কারখানায় যান ওসামু। দুটিতেই বৈঠক করেন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে। মারুতি কারখানায় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে ওসামু দাবি করেন, শিল্প বিরোধের জেরে মানেসরে গোলমাল হয়নি। বরং এটি একটি অপরাধমূলক ঘটনা। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। মানেসরের ঘটনার সঙ্গে তাঁর ভারত সফরের যোগ নেই বলে দাবি করেছেন ওসামু। তাঁর বক্তব্য, ২৮ অগস্ট মারুতির বার্ষিক সভা। সফরসূচি আগেই তৈরি হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের যদিও দাবি, এ দেশে সংস্থার কর্তারাই যে মানেসর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সক্ষম, সেই বার্তাই এর মাধ্যমে দিতে চেয়েছেন তিনি।
|
গ্যাস চুরি করতে গিয়ে ট্রাকে আগুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ধানবাদে সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক থেকে থেকে গ্যাস চুরি করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম হয়েছে ট্রাকের খালাসি এবং স্থানীয় দুই কিশোর। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ট্রাকের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে, ধানবাদের বারবাড্ডা থানার বড়জামুয়া গ্রামে। জাতীয় সড়কের কাছে একটি গলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিল গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকটি। ট্রাকের কেবিনে বড় সিলিন্ডার এনে অপেক্ষাকৃত ছোট সিলিন্ডার থেকে গ্যাস চুরি করছিল তিনজন। হঠাৎই বিকট শব্দে কেবিনে আগুন জ্বলে ওঠে। কেবিন থেকে ছিটকে পড়ে দুই কিশোর এবং ট্রাকের খালাসি। পুলিশ জানিয়েছে, টাটা থেকে সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকটি যাচ্ছিল মধুপুরে।
|
জেল সুপারকে মার কয়েদিদের |
সংবাদসংস্থা • আরারিয়া |
জেলের কয়েদিদের হাতে মার খেলেন সেই জেলেরই সুপার। বিহারের আরারিয়ার একটি বিভাগীয় জেলের ঘটনা। আরারিয়ার ওই জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলের সুপারিন্টেনডেন্ট আর কে চৌহান। সেই সময় ওই জেলেরই ছয় বন্দি তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে। পুলিশ সুপার শিবদ্বীপ লান্ডে জানিয়েছেন, চৌহানের আঙুল ভেঙে গিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লান্ডে জানিয়েছেন, কয়েদিরা সম্ভবত কোনও ভাবে জেনেছিল, তাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে। তাই জেল সুপারের উপর তারা আক্রমণ করে। এই ঘটনার একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।
|
ফেসবুক-টুইটারে সতর্কতা জারি কেন্দ্রের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে সব মন্ত্রক ও দফতরকে নির্দেশ দিল তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। এই বিষয়ে একটি বিশদ নির্দেশিকাও দিয়েছে তারা। অসমে গোষ্ঠী-সংঘর্ষের সময়ে ফেসবুক, টুইটারের মতো সাইটে অপপ্রচার নিয়ে বেকায়দায় পড়েছিল কেন্দ্র। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের বক্তব্য, খুব সতর্ক হয়ে এই সাইটগুলি ব্যবহার করতে হবে। আদালতের বিচারাধীন বিষয় বা খসড়া বিল নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না। দেখতে হবে কপিরাইট আইন যেন লঙ্ঘিত না হয়। অ্যাকাউন্টগুলিতে পোস্ট করা সব মন্তব্যের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে মন্তব্য করা একেবারেই চলবে না। কেবল সরকার যে সব তথ্য সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে সেগুলিই ফেসবুক বা টুইটারের প্রকাশ করা যেতে পারে।
|
পুলিশ কমিশনার বদল |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
আজাদ ময়দানে ‘হিংসা রুখতে না পারার’ দায় তাঁর ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন বিরোধীরা। পরিস্থিতি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আর পাটিল এবং পুলিশ কমিশনার অরূপ পট্টনায়কের অপসারণের দাবিতে বিরাট মিছিল করেছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। সেই মিছিলের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পরেই সরিয়ে দেওয়া হল মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পট্টনায়ককে। যদিও সরকারি সূত্রে বলা হল, পট্টনায়ককে ‘নিয়ম মাফিক বদলি’-ই করা হয়েছে। ১৯৭৯ ব্যাচ আইপিএস অফিসার পট্টনায়কের পরিবর্তে সত্যপাল সিংহকে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল ১১ অগস্ট আজাদ ময়দানে? অসমের গোষ্ঠী সংঘর্ষের প্রতিবাদে আজাদ ময়দানে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
|
সঞ্জয়ের শাস্তি বহালের আর্জি |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অস্ত্র আইনে সঞ্জয় দত্তের শাস্তি বহাল রাখতে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাল সিবিআই। ১৯৯৩-র মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় সঞ্জয়কে ছ’বছর কারাদণ্ড দিয়েছিল টাডা আদালত। সঞ্জয়ের আইনজীবী আজ বলেন, এ কে-৫৬ রাইফেলের ১৬ ইঞ্চির স্প্রিং সঞ্জয়ের কাছে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, ‘সিজার মেমোতে’ ১৮ ইঞ্চি স্প্রিংয়ের কথা বলা হয়। তাই সিবিআই পরে স্প্রিং বদলে দিয়েছে।
|
পাম্প ম্যানেজার খুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
পূর্ব সিংভূম জেলার পোটকা থানা এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের বৃদ্ধ ম্যানেজারকে কাল রাতে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাম অবতার সিংহ (৭০)। কয়েক সপ্তাহ ধরে পেট্রোল পাম্পটি বন্ধ। তবুও সোনারির বাসিন্দা রামঅবতারবাবু নিয়মিত পাম্পে আসছিলেন। বন্ধ পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার খুনের কোনও সূত্র পুলিশ এখনও পায়নি।
|
টেপ-রহস্য অজানা কেন্দ্রের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়া এবং টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটার টেলিফোনে কথাবার্তার টেপ কী ভাবে ফাঁস হয়েছিল, তার কোনও হদিস দিতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি জানিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, কোথা থেকে বা কী ভাবে ওই রেকর্ড ফাঁস হয়েছিল, তা খুঁজে বার করা যায়নি। তাঁর ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে অভিযোগ করে রতন টাটা টেলি- রেকর্ড ফাঁস কী ভাবে হল জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। যার উত্তরে এই রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্র।
|
বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু |
বৃষ্টির সময় খেলতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হল তিন বালকের। আহত হয়েছে দু’জন। বিহারের সীতামঢ়ী জেলার রুনিসেদপুর দক্ষিণ পঞ্চায়েতের ঘটনা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে,মৃত ও আহত বালকরা মানপুর ঝাউওয়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সময় একটি খোলা জায়গায় খেলছিল ওই বালকরা। তখনই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। দু’টি বালকের দেহ পুড়ে গিয়েছে। সকলের বয়সই ১২ বছরের কাছাকাছি। কারও পরিচয় জানা যায়নি।
|
নিজের গুলিতে মৃত্যু জওয়ানের |
অনুশীলনের সময় নিজের ছোড়া গুলি ছিটকে নিহত হলেন এক জওয়ান। বুধবার ঘটনাটি ঘটে জম্মুর খানপুর সামরিক শিবিরে। হত জওয়ান বিহারের বাসিন্দা।
|
নাবালিকাকে ধর্ষণ |
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২১ বছরের যুবক। নাসিকের কালোয়ান জেলার ঘটনা। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন নিগৃহীতার বাবা।
|
প্রেমের ‘শাস্তি’ |
বোনের প্রেম পরিবারের সন্মানে আঘাত করছে। সেই ‘অপরাধে’ বোনের মাথা কেটে ফেলল দাদা। বুধবার মুজফ্ফরনগরে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক।
|
সম্পর্কের শাস্তি |
এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে এক নাপিতের নাক, ঠোঁট ও জিভ কাটল কয়েক জন। চোখ ওপড়ানোরও চেষ্টা করা হয়। ঘটনাটি ঘটে পাক পঞ্জাবে।
|
ভারতের সাফল্য |
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত হাল্কা চালকবিহীন বিমান (টার্গেট এয়ারক্রাফ্ট) ‘লক্ষ্য-১’-এর সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। এটি পাইলটদের প্রশিক্ষণে সাহায্য করবে।
|
ককপিটে মহিলা |
কিংফিশার এয়ারলাইন্সের এক বিমানচালকের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে ককপিটে ঢোকানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। কিংফিশারের মুখপাত্র জানান তারা এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।
|
জাল টাকার সন্ত্রাস |
প্রায় নিখুঁত জাল মুদ্রা তৈরি, পাচার ও তা ছড়িয়ে ভারতের আর্থিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করাও সন্ত্রাস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের এই সংশোধন অনুমোদিত হয়েছে।
|
স্বস্তির ২০ |
প্ররোচনামূলক এসএমএস-এমএমএস রুখতে প্রিপেড মোবাইল থেকে দৈনিক এসএমএসের সংখ্যা ৫ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার থেকে তা ২০ করা হল।
|
বলবে কোর্টই |
টু-জি মামলায় পি চিদম্বরমের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চেয়ে মামলা করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুক্রবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। |
|