|
|
|
|
এপিডিআর নেতারা প্রকাশ্যে, পুলিশের চার্জশিটে ‘পলাতক’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
অভিযুক্তরা প্রকাশ্যেই রয়েছেন! অথচ, তাঁদের ‘পলাতক’ দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট পেশ হয়ে গিয়েছে! এমনই কাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।
মাওবাদী নেতা কিষেণজিকে হত্যার প্রতিবাদে গত বছর ২৫ নভেম্বর ফিয়ার্স লেনে একটি সভা করেছিল এপিডিআর। অন্ধ্রপ্রদেশের কবি ভারভারা রাও-সহ মানবাধিকার আন্দোলনের কয়েক জন নেতা সেখানে বক্তৃতা করেন। পুলিশ সে দিন ওই সভায় কোনও বাধা দেয়নি। বরং, সভাস্থলে আইনশৃঙ্খলা এবং যান চলাচল সামলেছিল। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক আগে আচমকা পুলিশ মদন বড়াল লেনে এপিডিআরের দফতরে গিয়ে জানায়, তাদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যোগাযোগ করতে হবে। এপিডিআরের নেতারা জানতে পারেন, গত বছর ২৫ নভেম্বর ফিয়ার্স লেনে সভা করার জন্য বৌবাজার থানা দেবপ্রসাদ রায়চৌধুরী, অমিতদ্যুতি কুমার-সহ তাঁদের ছ’ জন নেতার বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশ এবং স্বাভাবিক জনজীবনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তের তালিকায় আরও এক অপরিচিতও আছেন। ৩১ মার্চ পুলিশ চার্জশিটও দিয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের বলা হয়েছে ‘পলাতক’।
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনটি প্রশ্ন তুলেছেন এপিডিআরের আইনজীবীরা। এক, অভিযুক্তদের না জানিয়ে মামলা চলল কী ভাবে? দুই, পুলিশ যাঁদের পলাতক বলেছে, তাঁরা সকলেই নিয়মিত ভাবে তাঁদের কর্মস্থলে কাজ করছেন! এমনকী বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও তাঁদের দেখা গিয়েছে! তিন, পুলিশ যে সভাকে ‘বেআইনি সমাবেশ’ বলেছে, সেখানে তারাই পাহারায় ছিল। তবে পুলিশকর্তারা এই সমস্ত ‘অসঙ্গতি’ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। এপিডিআরের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জিত শূরের অভিযোগ, “এটা আসলে এপিডিআর-কে ভয় দেখিয়ে নিষ্ক্রিয় করতে মহাকরণ এবং লালবাজারের ষড়যন্ত্র।” এ দিন ওই মামলায় অভিযুক্ত এপিডিআরের নেতারা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁদের জামিন হয়েছে। তবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর তাঁদের ফের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। |
|
|
|
|
|