‘কাঁচা’ হাতেই খুন পাইকপাড়ার বৃদ্ধা, সন্দেহ পুলিশের
পাইকপাড়ায় বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনায় দাগি চোরদেরই সন্দেহ করছে পুলিশ। অপরাধের ধরন দেখে গোয়েন্দারা মোটামুটি নিশ্চিত, এটা পেশাদার খুনিদের কাজ নয়। তবে খুনের কারণ সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের একাংশের ধারণা, ওই দুষ্কৃতীরা চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই বৃদ্ধার বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু সেটাই একমাত্র কারণ কি না, তা বলার সময় আসেনি।
মঙ্গলবার রাতে চিৎপুর থানা এলাকার পাইকপাড়ায় গাঙ্গুলিপাড়া লেনে নিজের বাড়িতে খুন হন ফুলরেণু চৌধুরী নামে ওই বৃদ্ধা। অবিবাহিতা এবং ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ওই মহিলা বছর আটেক ধরে ওই বাড়িতে একাই থাকতেন। খুনের পরে তাঁর সোনার বালা ও কানের দুল লুঠ করা হয়। তাঁর দেহের পাশেই মেলে একটি কাঠের হাতল। বাড়ির মূল দরজার সামনে এক জোড়া চটিও মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, খুন করার জন্য ওই কাঠের হাতলটিই ব্যবহার করা হয়েছে।
অপরাধের ধরন দেখে পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, দুষ্কৃতীরা পাকা চোর। তবে, খুনটি করা হয়েছে ‘কাঁচা হাতে’। তদন্তে গোয়েন্দারা জেনেছেন, প্রথমে ওই বৃদ্ধার মাথার বাঁ পাশে কাঠের হাতল দিয়ে আঘাত করা হয়। তার পরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, মাথার বাঁ পাশে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় না। সে ক্ষেত্রে যাঁকে খুন করা হচ্ছে, তিনি চেঁচামেচি করতে পারেন। গোয়েন্দাদের অনুমান, ফুলরেণুদেবী তা-ই করেছিলেন। বেগতিক দেখে আততায়ীরা গামছা জাতীয় কিছু দিয়ে তাঁর মুখ চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আততায়ীরা ফুলরেণুদেবী এবং তাঁর বাড়ি সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নিয়েছিল। তাই খুন করার পরে সহজেই তালা খুলে পালিয়ে গিয়েছিল তারা। ওই মহিলার ভাই হিমাদ্রিবাবুর দাবি, ফুলরেণুদেবী বহু অপরিচিত লোককেই ঘরে ডেকে কথা বলতেন। দুষ্কৃতীরা তেমন কেউ সেজে এসে ঘর ‘রেইকি’ করে গিয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাশাপাশি, একটি পারিবারিক গোলমালের কথাও পুলিশের কানে এসেছে। এ দিন লালবাজার এবং চিৎপুর থানার অফিসারেরা ফের ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির অন্যতম মালিক পার্থবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। মৃতার পরিজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মহিলার কী কী সম্পত্তি রয়েছে, তারও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, “অনেক সময়ে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে পারিবারিক গোলমালের বিষয় জড়িয়ে থাকে। তাই সে দিকটিও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পেশাদার খুনি
সুপরিকল্পিত ভাবে হামলা করে।
এক বারেই ‘শিকারকে’ নিকেশ করে দেয়।
কোথায় মারলে মৃত্যু নিশ্চিত, জেনে নিয়েই হামলা চালায়।
প্রমাণ লোপাটে পারদর্শী হয়।
অপেশাদার খুনি
হামলায় পরিকল্পনার অভাব থাকে।
খুনের কৌশল না-জানায় দেহের বিভিন্ন অংশে বারবার আঘাত করে।
সহজেই প্রমাণ রেখে যায়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.