|
|
|
|
আবার ছিনতাই সল্টলেকে, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
এ-ই ব্লকের পরে বি-জি ব্লক। ফের দিনের আলোয় একই কায়দায় সল্টলেকের বসতি এলাকায় ছিনতাই। মঙ্গলবার এ-ই ব্লকে এক মহিলার হার ছিনতাইয়ের ৪৮ ঘণ্টা না কাটতেই বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরে ফের প্রশ্নের মুখে বিধাননগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের নজরদারি কোথায়? বাসিন্দাদের নিরাপত্তাই বা কতটা সুরক্ষিত? ব্লকে ব্লকে গ্রিন পুলিশ নিয়োগ করেই বা কী লাভ হল?
পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কেষ্টপুরের বাসিন্দা সুজাতা দে তাঁর ছেলেকে বিধাননগর পূর্ব থানা এলাকার বি-জি ব্লকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক অভিভাবিকা মন্দিরা বিশ্বাস। স্কুলের অদূরেই একটি বাড়ির কাছাকাছি আচমকা পিছন থেকে এসে এক মোটরবাইক চালক সুজাতাদেবীর গলা থেকে হার ছিনিয়ে চম্পট দেয়।
একই ভাবে গত মঙ্গলবার সকালে বিধাননগর (উত্তর) থানা এলাকার এ-ই ব্লকে মোটরবাইকে এসে এক মহিলার গলা থেকে হার টেনে নিয়ে পালিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। উল্লেখ্য, দু’টি ক্ষেত্রেই ২৪-২৫ বছরের এক দুষ্কৃতী (হেলমেট পরা) একা মোটরবাইকে এসে এই ঘটনা ঘটায়। দু’টি ক্ষেত্রে আলাদা ছিল শুধু দুষ্কৃতীর পোশাক। পূর্ব থানা এলাকায় আগেও একই ভাবে আর একটি ঘটনা ঘটেছিল।
তাই প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ সকালে কোথায় থাকে? দিনে-রাতে নজরদারিই বা কোথায়? বাসিন্দাদের অভিযোগ, নজরদারি নেই। বড় রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ পুলিশ কিংবা ব্লকে ব্লকে গ্রিন পুলিশ থাকলেও তাঁদের কার্যকারিতা নেই।
এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। তাদের দাবি, নজরদারি আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। অভিযানও চালানো হয়। একাধিক ছিনতাই-চক্র ধরাও পড়েছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান নীলু শেরপা চক্রবর্তী বলেন, “আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ঘটনাগুলির পিছনে নতুন কোনও চক্র কিংবা পুরনো অপরাধীদের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
গোয়েন্দাপ্রধানের এই দাবি মানতে নারাজ বিধাননগরের বাসিন্দারা। তাঁদেরই একটি সংগঠন ‘বিধাননগর (সল্টলেক) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “নজরদারি উন্নত হলে এমন ঘটনা পরপর ঘটছে কী ভাবে? পুলিশ একা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। নাগরিকেরা সহযোগিতা করতে চাইলেও জনসংযোগ করতে ব্যর্থ পুলিশ। কমিশনারেট হওয়ার পরেও এলাকার বিশেষ উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।” অভিযোগ অস্বীকার করে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “আগের ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এই দু’টি ঘটনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|