চিঠি শিল্পমন্ত্রীকে |
শিল্পায়ন-চিত্র বেহাল নয়,
ব্যাখ্যা দিল অ্যাসোচ্যাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
|
রাজ্যের শিল্পায়ন-চিত্র হতাশাজনক, এমন কোনও সিদ্ধান্ত তারা নেয়নি বলে জানিয়ে দিল বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। বুধবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশের পাশাপাশি অ্যাসোচ্যামের সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াত জানিয়েছিলেন, ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সরকারের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে।
রাজ্যে লগ্নির গতি কমা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য ছিল, “আন্তর্জাতিক মন্দার পাশাপাশি সিঙ্গুর পরবর্তী সময়ে লগ্নিকারীদের মনে সংশয়ও এর অন্যতম কারণ। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী যে কারণে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন। সেই সংশয় দূর করার দায় রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে রাওয়াত বলেছেন, “(বুধবারের বৈঠকে) লগ্নি প্রসঙ্গে আমি বলেছি, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পরে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে লগ্নির পরিমাণ এবং রাজ্যের ভিতরে ও বাইরে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ইতিবাচক মোড় নিয়েছে।”
নতুন রাজ্য সরকারের জমি নীতি নিয়েও তাঁদের মনে বিরূপ কোনও ধারণা নেই বলে ওই চিঠিতে দাবি করেছেন রাওয়াত। তিনি লিখেছেন, “রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা নতুন জমি নীতিকে আমরা আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের কর্মতৎপর মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের আমরা বারবারই বলেছি।” বন্ধ ও রুগ্ণ কলকারখানার জমি শিল্পায়নের কাজে ব্যবহার এবং ভূমি সংস্কার আইনের ১৪ওয়াই ধারায় আরও অনেক বেশি শিল্পকে সিলিং বহির্ভুত জমি রাখার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছেন রাওয়াত। ছোট ও মাঝারি শিল্পে নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দেশের এক নম্বর রাজ্য হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
রাওয়াতের চিঠি প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী বৃহস্পতিবার মহাকরণে বলেন, “সংবাদমাধ্যমে অ্যাসোচ্যামের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, আমরা তার সত্যতা জানতে চেয়েছিলাম। ওরা চিঠি দিয়ে তা জানিয়েছে। সেই চিঠি আমাদের ওয়েবসাইটেও দেব।” বুধবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে এ দিন তিনি দীর্ঘ বৈঠক করেছেন বলেও মন্ত্রী জানান। |