নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
প্রাপ্য টাকা মেটানোর দাবিতে অধ্যক্ষকে তখন ঘেরাও করে রেখেছেন কলেজের অশিক্ষক কর্মীরা। ফলে রেজিস্ট্রেশন করাতে এসে দীর্ঘ ক্ষণ নির্দিষ্ট কাউন্টারে কোনও কর্মীরই দেখা পেলেন না ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তখন তারাও পাল্টা ঘেরাও করলেন অধ্যক্ষকে। বৃহস্পতিবার একই দিনে দুই পক্ষের এমন ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ঘেরাও উঠে গেলে ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন অধ্যক্ষ কলেজে ঢুকতেই অশিক্ষক কর্মীরা তাঁদের দাবি নিয়ে সরব হন। ওই কর্মীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ সদর্থক ভূমিকা না নেওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে প্রাপ্য টাকা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিবাদে তাঁরা তাই অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন। এ দিকে, এ দিনই বিএ অনার্স পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনের নির্ধারিত দিন ছিল। সেই জন্য দূর-দূরান্ত থেকে পড়ুয়ারা কলেজে এসেছিলেন। কলেজের এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাফিউল ইসলামের অভিযোগ, “ওই পড়ুয়ারা কলেজে এসে দেখেন কলেজের কাউন্টারে কোনও কর্মী নেই। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করেও রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু না হওয়ায় পড়ুয়ারা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করার দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন।”
এ দিনের কর্মীদের আন্দোলনের পর অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই কর্মীদের টাকা খুব শীঘ্রই মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর কলেজে আলোচনার জন্য বসা হবে।” অন্য দিকে, এই আন্দোলনের জেরে পড়ুয়াদের হয়রানির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কলেজের পড়ুয়াদের কথা ভেবে কর্মীদের এ দিন আন্দোলন করার ব্যাপারে ভাবা উচিত ছিল।” |