নিজস্ব সংবাদদাতা • পাড়ুই |
এক ‘নিখোঁজ’ কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম উত্তম বণিক। তাঁর বাড়ি আসানসোলের হিরাপুর থানার ধুরুপডাঙালে। বৃহস্পতিবার দু’জনকেই সিউড়ি সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। আজ, শুক্রবার ধৃতের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ জুলাই সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে কম্পিউটার ক্লাস করতে বেরিয়ে ‘নিখোঁজ’ হন। পাড়ুই থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাবা ২৬ জুলাই পাড়ুই থানায় এ নিয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ৩১ জুলাই ছাত্রীর বাবা মেয়ের এক সহপাঠী মফিজুল ও তার সঙ্গী শেখ খানের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ফের তদন্ত শুরু করে তারা। বুধবার পাড়ুই থানার ওসি কার্তিকমোহন ঘোষের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তকারী অফিসার-সহ তিন সদস্যের একটি দল আসানসোলে যায়। ওই দিন বিকেলেই আসানসোল কোর্ট মোড় বাজার থেকে উত্তম বণিক নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসানসোলের হিরাপুর থানা থেকে উদ্ধার হয় ওই কলেজ ছাত্রী।
বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তম বণিক নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।” সরকার পক্ষের আইনজীবী কুন্তল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজ, শুক্রবার ধৃতের জামিনের আবেদনের শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম অর্ঘ্যদেব খান। উদ্ধার হওয়া ওই কলেজ ছাত্রীকে পিআর বন্ডে ছাড়া হয়েছে।” এ দিকে, ধৃতের অবশ্য দাবি, “অপহরণের অভিযোগ ঠিক নয়। ও স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমরা দু’জনেই সাবালক। আমাদের বিয়েও হয়ে গিয়েছে।” |