ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সুফল বুঝতে কালনায় তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখলেন ছত্তীসগঢ়ের কাঙ্কের, ধামতরী ও কবীরধাম জেলার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের মোট ৪০ জন প্রতিনিধি। কালনায় আসার আগে তাঁরা নদিয়ার কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং কল্যাণীতে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রথমে এই প্রতিনিধি দলটি যায় কালনার মছলন্দপুর সিমলন সিদ্ধেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানে মিড-ডে মিলের প্রক্রিয়া দেখেন তাঁরা। সেখান থেকে বেগপুরের রাজখাড়া গ্রামে গিয়ে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তৈরি বিভিন্ন ফলের বাগান ঘুরে দেখেন। ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে কথাও বলেন দলের সদস্যেরা। |
আলোচনা করেন কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির শান্তি চালের সঙ্গেও। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর কাজকর্ম সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। পরে তাঁরা আটঘোড়িয়া সিমলন পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষের বিষয়ে খোঁজ নেন। স্বল্প খরচে ও কম জলের সাহায্যে কী ভাবে বেশি ধান উৎপাদন করা যায়, চাষিরা তাঁদের সে কথা বলেন। বিকেলে ধাত্রীগ্রামে গিয়ে তাঁত শিল্প সম্বন্ধে খোঁজ নেয় দলটি। কথা বলেন তাঁতশিল্পীদের সঙ্গেও।
ওই দলের সদস্য বিদেশীরাম থুর্বা বলেন, “এই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রতি বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে দেখে আমাদের ভাল লেগেছে। দেখে অবাক হলাম, কোনও জমি ফাঁকা পড়ে নেই। সর্বত্রই কিছু না কিছু চাষ হচ্ছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকাল থেকে কাজ করছেন। আমরা নিজেদের এলাকায় এই অভিজ্ঞতার কথা জানাব।” আর এক প্রতিনিধি বলরাম সাউয়ের কথায়, “সমস্ত পড়ুয়া স্কুলে গিয়ে এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, এটা দেখে আমরা বিস্মিত।” |