টুকরো খবর |
সরকারের সমালোচনায় সূর্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিমলাপাল |
ডিওয়াইএফের সভায় বর্তমান রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বুধবার সিমলাপালে সূর্যকান্তবাবু অভিযোগ করেন, “রাজ্যজুড়ে নৈরাজ্য চলছে। এই পরিস্থিতি বেশি দিন চললে মানুষ বিদ্রোহ করবে বলে ওরা (তৃণমূল) ভয় পাচ্ছে। তাই পুজোর পরেই পঞ্চায়েতের ভোট করতে চাইছে। সে জন্য এখন থেকেই বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে।” |
|
সিমলাপালে সূর্যকান্ত মিশ্র। ছবি: উমাকান্ত ধর। |
তৃণমূল কর্মীদের হাতে বামপন্থী ও কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা তো বটেই, তৃণমূলেরই কিছু কর্মী খুন হচ্ছেন বলে সিপিএমের এই পলিটব্যুরো সদস্য কটাক্ষ করেছেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্রও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেন।
|
ক্ষতিপূরণের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
পশ্চিম মেদিনীপুর ছেড়ে বাঁকুড়ার সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম আমডোবায় সোমবার রাতে পৌঁছনো দলমার ২০টি হাতির দল মঙ্গলবার রাতে ঢুকে পড়ল বিষ্ণুপুর বনবিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জের জঙ্গলে। ঢুকেই ওই এলাকার কলাবাগান, ফুলবনী, আমডহরা ইত্যাদি গ্রামের চাষ জমিতে নেমে ব্যাপক ক্ষতি করেছে সব্জি ও আমন ধানের। বুধবার বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসে এসে ক্ষতিপূরণ ও হাতি তাড়াবার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ওই রেঞ্জের আধিকারিক বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “একদিনেই তিনটি গ্রামে প্রচুর সব্জি ও ধানের ক্ষতি করেছে বলে খবর পেয়েছি। ২০টি হাতির দলটি আমাদের এলাকার আমডহরা গ্রামের কাছে রয়েছে। তার ঠিক পিছনে ১৫টি, তারও পিছনে ৪৫টি হাতির বড় দলটি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।” তিনি জানান, দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে কারণে হাতির দলের দিকে বনকর্মীদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের হাতির দলের সামনে না যাওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।
|
সহায়তা কেন্দ্র চালু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
শংসাপত্র পেতে আর এই অফিস, সেই অফিস করতে হবে না রাজ্যের ৪০টি তপশিলি জাতি-উপজাতি প্রধান ব্লকের বাসিন্দাদের। ব্লক অফিসে গিয়েই তাঁরা প্রয়োজনীয় শংসাপত্র পেয়ে যাবেন। দরকারে এই সহায়তা কেন্দ্রে বসেই সরকারি চাকরির আবদেন পত্র পাবেন, প্রত্যায়িত নকল করতে পারবে। ইন্টারনেট পরিষেবাও পাওয়া যাবে। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে বুধবার শালতোড়া ও ছাতনা ব্লকে এই পরিষেবা চালু হল। উপস্থিত ছিলেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মহাধ্যক্ষ মনতোষ পণ্ডিত প্রমুখ।
|
‘নির্দল বামপন্থী’ তিনি, দাবি করলেন বিক্রম
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
|
পুরুলিয়া আদালতে বিক্রম। ছবি: সুজিত মাহাতো |
নিজেকে মাওবাদী বলেই মানতে নারাজ মাওবাদীদের অযোধ্যা স্কোয়াডের ধরা পড়া শীর্ষ নেতা বিক্রম ওরফে অর্ণব দাম। বুধবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের বাইরে ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) ধারায় তাঁকে অভিযুক্ত করা সম্পর্কে বিক্রমের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমে আমাকে যে ভাবে মাওবাদী নেতা বলে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। আমি অনেক আগেই মাওবাদীদের সংস্রব ত্যাগ করেছি। আমাকে এক জন নির্দল বামপন্থী বলতে পারেন।” শনিবারই শিলদা-কাণ্ডে ইউএপিএ মামলায় যুক্ত করা হয় বিক্রমকে। বুধবার বিক্রমকে পুরুলিয়া সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। নিজের আইনজীবী সাগর মণ্ডল মারফত বিক্রম বিচারকের কাছে কয়েকটি আর্জি জানান। সাগরবাবু পরে বলেন, “আমার মক্কেল বাবা-মা ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে চেয়েছেন। অর্ণব স্পন্ডিলোসিসে ভুগছেন। তাঁর চিকিৎসা দরকার। পড়ার জন্য বইও প্রয়োজন। উনি নিজেও মৌখিক ভাবে এজলাসে এ কথা জানিয়েছেন।” ২০১০-এর নভেম্বরে ঝালদা থানা এলাকায় মাওবাদীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গুলির লড়াই সংক্রান্ত মামলাতেও বিক্রমকে ইউএপিএ-তে যুক্ত করা হয়েছে বলে সাগরবাবু জানান।
|
স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
কলেজে ছাত্র ভর্তির সমস্যা মেটাতে সম্প্রতি সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিল পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌতম রায়ের দাবি, “জেলা জুড়ে কলেজে ভর্তি নিয়ে সমস্য চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উপাচার্য জেলার কলেজগুলির অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠকে ঠিক করেন ১৩০০ আসন বাড়ানো হচ্ছে।”
|
কর্মীদের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের জিপিএফ, সার্ভিস বুক এবং নমিনি নথিভুক্ত ও হালকরণ, পঞ্চায়েতকর্মীদের সরকারি কর্মী হিসেবে মর্যাদা দেওয়া-সহ কয়েক দফা দাবিতে পুরুলিয়া জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিককে স্মারকলিপি দিল পঞ্চায়েতিরাজ এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক স্বরূপকুমার মালিক জানান, দাবিগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
অপমৃত্যু |
মোবাইলের খুঁটিতে গলায় ফাঁস দেওয়া এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল বুধবার। মৃত মানস পালের (১৭) বাড়ি কেন্দা গ্রামে। |
|