ট্রেনে কাটা পড়েছিল কিশোরটি। কিন্তু এরপর আরও দু’টি ট্রেন তার দেহের উপর দিয়ে যাওয়ায় দেহটি উদ্ধারে রেলের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগ তুলে বুধবার ক্ষোভ ছড়াল রঘুনাথপুরের বেড়ো এলাকায়।
রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে আদ্রা- আসানসোল শাখার বেড়ো ও রামকানালী স্টেশনের মাঝে বাঁকুড়া- আসানসোল প্যাসেঞ্জার ট্রেনে কাটা পড়ে ওয়াসিম জালাল (১৫)। রঘুনাথপুর থানার রায়ডি গ্রামে তার বাড়ি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকাল ৭টায় ওই কিশোরের ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়। দেহ পড়েছিল রেললাইনের উপরেই। পরে দেহটি উপর দিয়েই যায় একটি মালগাড়ি ও পুরুলিয়া- বর্ধমান প্যাসেঞ্জার ট্রেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ লায়েক, পরিতোষ বাউরিরা বলেন, “সকালে ওই কিশোরের দেহ রেল লাইনের উপর পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। পরে দেহের উপর দিয়েই পর পর দু’টি ট্রেন যাওয়ায় দেহটি আরও ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।” তাদের অভিযোগ, ঘটনার ঘণ্টা দু’য়েক পরে রেলপুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনে কাটা পড়ার পরেই চালক প্রথমে খবর দেন স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজারকে। সেখান থেকে রেলপুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রেলপুলিশের আদ্রা থানার ওসি জিতেন্দ্রনাথ খাটুয়া বলেন “খবর পেয়েই আমাদের কর্মীরা আদ্রা থেকে গাড়ি করে দ্রুত ঘটনাস্থলে রওনা দেন। কিন্তু ওই জায়গায় সংকীর্ণ রাস্তা হওয়ায় কিছু সমস্যা হয়।” আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার বলেন, “জিআরপি দেরিতে খবর পাওয়ায় ঘটনাস্থলে যেতে দেরি হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা কাঙ্খিত নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
|