দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী গ্রামে বিদ্যুদয়নের দাবি জানিয়ে আসছেন। এলাকাবাসীর দাবি মেনে দশ মাস আগে গ্রামে বিদ্যুদয়নের জন্য খুঁটি পোঁতা হয়। অথচ রামপুরহাট থানার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম বারোমেসিয়ায় আজও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসে আদিবাসী এলাকায় উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলছেন। অথচ বারোমেসিয়া-সহ এলাকার তেঁতুলবাঁটি, বাঘাজোল, বড়গাছিয়া, বনরামপুর, পিয়ারশালা প্রভৃতি গ্রামগুলিতে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি।
বারোমেসিয়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক শ্রীমন্ত টুডু, শরৎ কিস্কু, তালা হাঁসদাদের বক্তব্য, “গ্রামের পাশের পাথর শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ আছে। অথচ শিল্পাঞ্চলের পাশের আদিবাসী গ্রামগুলির বাসিন্দারা বিদ্যুতের অভাবে আঁধারে বাস করছে। এর ফলে গ্রামের অধিকাংশ স্কুলপড়ুয়া থেকে কলেজপড়ুয়া প্রচণ্ড অসুবিধার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে দূর দূরান্তের গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের ধান, গম ভাঙিয়ে আনতে হচ্ছে।”
তাঁদের ক্ষোভ, “সম্প্রতি গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য খুঁটি পৌঁছলেও সেখানে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি।” এলাকার মানুষের হুমকি, অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া না হলে তাঁরা রামপুরহাট-দুমকা রোডে পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবেন।
তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই সমস্ত গ্রামগুলিতে বিদ্যুদয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এসেছি। সম্প্রতি ওই সমস্ত গ্রামগুলিতে খুঁটি পৌঁছেছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই ওই গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছবে।” রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের জেলা আধিকারিক তপন দে বলেন, “কিছু কিছু এলাকায় ছোটখাটো সমস্যায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বারোমেসিয়া-সহ অন্যান্য গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই ওই সমস্ত গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।” |