|
|
|
|
সারের কালোবাজারি রুখতে পথে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ‘সারের অভাবে চাষবাসের সমস্যা’র কথা চিৎকার করে বলেছিলেন বিনপুরের শিলাদিত্য চৌধুরী। গোলমাল পাকানোর অভিযোগে তিনি আপাতত জেলবন্দি। কিন্তু সার-সমস্যার সমাধানে নজর নেই কারও। ন্যায্য দামে ‘চাপান’ সার (ইউরিয়া) মিলছে না। গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলিতে চড়া দামে সার বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনি ব্লকে ‘সারের কালোবাজারি’ রুখতে পথে নামল তৃণমূল। সোমবার থেকে ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় সার দোকানগুলিতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দামে সার বিক্রির আবেদন জানাচ্ছেন জামবনি ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সমীর ধল ও তাঁর অনুগামীরা। সমীরবাবুর বক্তব্য, “সার-বস্তায় যে দাম লেখা রয়েছে, তার চেয়ে ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি দাম নিচ্ছেন বলে চাষিরা আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবে আমরা কাউকে জোর করে কম দামে সার বেচতে বাধ্য করিনি। চাষিদের স্বার্থের কথা ভেবে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি করার জন্য সার-ব্যবসায়ীদের দোকানে গিয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।” মঙ্গলবার জামবনি ব্লকের পড়িহাটিতেও তৃণমূলের পড়িহাটি অঞ্চল সভাপতি শেখ সুবান আলির নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা স্থানীয় সার দোকানগুলিতে গিয়ে ন্যায্য দরে সার বিক্রি করার দাবি জানান। বুধবারও জামবনির গিধনি এলাকায় পথে নামেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে পুলিশ ও কৃষি দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে স্থানীয় এক সার-ডিলারের গুদামঘর থেকে ন্যায্য মূল্যে হাজারখানেক চাষিকে সার বিক্রি করা হয়।
তবে পড়িহাটির মদন লাহার মতো অনেক সার ব্যবসায়ীর বক্তব্য, “হোলসেল ডিলারদের কাছে থেকে সার পাচ্ছি না। বিষয়টি কৃষি দফতরকে জানানো হয়েছে। বাধ্য হয়ে বাইরের খুচরো বাজার থেকে বেশি দামে সার কিনে আনতে হচ্ছে।” সার ব্যবসায়ীদের দাবি, ২৯২ টাকা দামের সার বস্তা তাঁরা বাইরে থেকে সাড়ে তিনশো টাকায় কিনে আনছেন। এরপর পরিবহন খরচ আছে। ফলে বস্তা পিছু বেশি দাম নিতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বলে সার বিক্রেতাদের দাবি। এই প্রসঙ্গে সমীরবাবু ও সুবান আলিদের মন্তব্য, “কালোবাজারি চক্র জিইয়ে রাখতে সারের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করছেন হোলসেল ডিলাররা। মধ্যে থেকে সমস্যায় পড়ছেন ছোট সার ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় সার বিক্রেতারা যাতে হোলসেল ডিলারদের কাছ থেকে ন্যায্য দরে সার পান, সেজন্য ব্লক-কৃষি অধিকর্তাকে শীঘ্রই স্মারকলিপি দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|