|
|
|
|
অভিযুক্ত তৃণমূল |
পাঁশকুড়ায় সিপিএম নেতাকে মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সিপিএমের এক নেতাকে ক্লাবে ঢুকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার হাউর এলাকার আটাং গ্রামে এই ঘটনার পরে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভগীরথ দলুই নামে বছর চল্লিশের ওই সিপিএম নেতা। যদিও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন জানিয়েছেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ভগীরথবাবু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের অবশ্য পাল্টা দাবি, এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ভগীরথবাবু, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও কর্মী জড়িত নন।
পাঁশকুড়ার হাউর পঞ্চায়েত এলাকার কুমরপুর হটেশ্বর হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ভগীরথবাবুর বাড়ি স্থানীয় মুরলীচক গ্রামে। তিনি সিপিএমের হাউর লোকাল কমিটির সদস্য। মঙ্গলবার স্কুলছুটির পর ভগীরথবাবু সাইকেল চালিয়ে হাউর বাজারে যাচ্ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ স্কুল থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে আটাং গ্রামে একদল তৃণমূলকর্মী তাঁকে জোর করে স্থানীয় একটি ক্লাবঘরে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। |
|
হাসপাতালে ভগীরথ দলুই। |
ভগীরথবাবুর অভিযোগ, “চার-পাঁচ দিন আগে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা আমাকে দেখা করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি দেখা করিনি। এ দিন একদল তৃণমূল কর্মী ক্লাবঘরে নিয়ে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৫০ হাজার টাকা চায়। আমি ১০ হাজার টাকার বেশি দিতে পারব না বললে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে।” তাঁর দাবি, “ক্লাবঘরের বাইরে তখন কয়েকশো তৃণমূলের লোক ছিল। ঘণ্টাখানেক অত্যাচার চালানোর পর সাদা কাগজে ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার মুচলেকা লিখিয়ে নেয় ওরা।” সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ছাড়া পাওয়ার পরে থানায় এসে অভিযোগ জানান ভগীরথবাবু। তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তিপ্রসাদ জানার অবশ্য বক্তব্য, “ভগীরথ এক সময় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালাতেন। সুবল দলুই নামে আমাদের এক দলীয় কর্মীর নিখোঁজের ঘটনা-সহ একাধিক মামলা রয়েছে ভগীরথের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ রয়েছে। তারই জেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” সিপিএমের পাঁশকুড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক তরুণ সামন্তের অবশ্য দাবি, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় জোর করে টাকা আদায় করছে তৃণমূল। সন্ত্রাস চালাচ্ছে ওরা। পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও ধরা পড়ে না কেউ।” |
|
|
|
|
|