|
|
|
|
উন্নয়নের কাজ খতিয়ে দেখতে পূর্বে বিধানসভার হাউস কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ করা টাকায় জেলায় কেমন কাজ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে পূর্ব মেদিনীপুরে এল রাজ্য বিধানসভার হাউস কমিটি। বিধায়ক সমরেশ দাসের নেতৃত্বে হাউস কমিটির ছয় সদস্য বুধবার প্রথমে জেলাসদর তমলুকে যান। জেলা পরিষদের সভাকক্ষে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও জেলা পূর্ত, জনস্বাস্থ্য, কৃষি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন তাঁরা। বিকেলে বামফ্রন্টের বিধায়ক চাঁদ মহম্মদ, দশরথ তিরকে, দিবাকর হাঁসদা, ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো-সহ ছয় সদস্যের হাউস কমিটির প্রতিনিধিরা হলদিয়ায় যান। ‘হলদিয়া ভবনে’ হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে সমরেশবাবু বলেন, “পর্ষদ এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট আমরা বিধানসভায় জমা দেব।”
যা অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তার তুলনায় কাজ অনেক ভাল হয়েছে দাবি করে এ দিনের বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সরকারকেই তুলোধনা করেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় জেলার ১৯টি রাস্তা পাকা করার কাজ হয়নি। রাজ্যের হাতে ঠিকাদার নিয়োগের দ্বায়িত্ব রয়েছে। জেলার হাতে থাকলে কাজ করিয়ে নিতে পারতাম।” |
|
তমলুক জেলা পরিষদ ভবনে বৈঠক। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
জেলার হেরিটেজ স্থানগুলির রক্ষণাবেক্ষণেও রাজ্য হেরিটেজ কমিশন সে ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বৈঠকে সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ৫৩টি সেতু নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। অর্থাভাবে পূর্ত দফতর কাজও করতে পারছে না। সহ-সভাধিপতির অভিযোগ, সরকারি ভর্তুকিতে পাওয়ার টিলার, পাম্প মেসিন পাওয়ার জন্য জেলার দেড়শো কৃষক ছ’মাসেরও আগে টাকা জমা দিয়েছিলেন। রাজ্য বীজ নিগম ওই সরবরাহের দ্বায়িত্ব পেলেও এখনও তা সরবরাহ করেনি। পূর্ত দফতরের কাজ দেখভালে জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করার কথা বলেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ান।
এ দিনের বৈঠকে বিধানসভার হাউস কমিটির সদস্য তথা দক্ষিণ কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার করতে ৬৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু যা কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের এবং হতাশাব্যঞ্জক।” এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। বিধানসভার হাউস কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস বলেন, “জেলার বিভিন্ন কাজের গতি নিয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারের বরাদ্দ করা টাকায় কাজ করতে গিয়ে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না তা-ও দেখা হচ্ছে। গ্রাম সড়ক যোজনায় যে ১৯টি রাস্তার কাজ আটকে আছে তা মূলত বরাদ্দ কম ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।” |
|
|
|
|
|