টুকরো খবর
পুলিশের সামনে বাইক চুরির চেষ্টা কালনায়
পুলিশের সেই গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের গাড়ির সামনে দিয়েই মোটরবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। পুলিশের তাড়া খেয়ে কিলোমিটার খানেক দূরে বাইক ফেলে চম্পট দিতে বাধ্য হল তারা। বেলা তখন প্রায় সাড়ে ১২টা। মহকুমা হাসপাতালের তৃতীয় দরজায় লোকজনের ভিড়। বেশির ভাগই এসেছেন মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করাতে। একই কারণে সেখানে পৌঁছয় কালনা থানার একটি গাড়িও। গাড়ির ভিতরে ছিলেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। আচমকাই এক যুবক চিৎকার শুরু করেন, “আমার গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।” দেখা যায়, একটি বাইকে চড়ে দু’জন দ্রুত গতিতে এসটিকেকে রোড ধরে বেরিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকর্মীরা দ্রুত ধাওয়া করেন বাইকটিকে। কিছুটা দূরে ধর্মডাঙা মোড়ের কাছে বাইকটি ফেলে চম্পট দেয় ওই দুই দুষ্কৃতী। বাইকটির মালিক, নদিয়া নৃসিংহপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডলের দাবি, “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ায় সকালে মা-কে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাই। বাইটি রেখে কিছু ওষুধপত্র কিনতে বেরোচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি, আমার বাইকের চাবি খুলে দু’জন পালাচ্ছে। চিৎকা করলে ওরা গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয়।” পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

রাজ কলেজে চাপান-উতোর
বিভাগের দায়িত্বভার অধ্যক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও বুধবার তা হল না রাজ কলেজে। ওই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর ভূতনাথ ঘোষালের এই দায়িত্বভার অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দীকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। অধ্যক্ষের দাবি, “এ দিন যে দায়িত্বভার আমাকে বুঝিয়ে দেবেন, তা বৈঠক করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভূতনাথবাবু। কিন্তু সকালে কলেজের ওই বিভাগে গিয়ে দেখলাম, উনি তালা দিয়ে রেখেছেন মূল প্রবেশপথে।” কিছু দিন আগে ওই বিভাগের দায়িত্ব থেকে ভূতনাথবাবুকে অব্যাহতির নির্দেশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরে ওই বিভাগের বেশ কয়েক জন পড়ুয়া ভূতনাথবাবুকে সরানোর নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। এ দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ ছাত্র-বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এর পরে বিষয়টি নিয়ে রাজ কলেজের টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যেই বচসা বাধে। তবে কলেজে পুলিশ থাকায় গোলমাল বেশি দূর গড়ায়নি। ভূতনাথবাবুর দাবি, “বিবিএ বিভাগের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব ছাড়তে আমার আপত্তি নেই। এ দিন সকালে আমি যথারীতি বিভাগে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোমরে ব্যথা শুরু হওয়ায় বাড়ি চলে আসি। অধ্যক্ষকে অবশ্য সে কথা জানিয়ে আসতে পারিনি।”

জোড়া খুনে জামিন হয়নি দুই অভিযুক্তের
বর্ধমানের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক প্রদীপ তা-সহ দুই নেতার হত্যাকাণ্ডে দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের দু’টি আলাদা ডিভিশন বেঞ্চে এই জোড়া খুনের মামলায় দু’দিনে দু’রকম রায় দেখা গেল। কয়েক দিন আগেই বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় তিন অভিযুক্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু বুধবার ওই মামলায় অন্য দুই অভিযুক্ত ছোটন চক্রবর্তী ও সুরজিৎ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রদীপবাবুর স্ত্রীর আইনজীবী জানান, সিআইডি তদন্তের গতিপ্রকৃতি না-জেনে ওই দুই অভিযুক্তকে জামিন দিলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.