বিমার কিস্তিতে জাল নোট, ধৃত
কটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থায় পলিসির প্রিমিয়ামে জাল নোট জমা দেওয়ার অভিযোগে এক গ্রাহককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁকে জেরা করে কেতুগ্রামের নারেঙ্গা গ্রামের অমৃত লাহা নামে এক যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে কাটোয়া শহরের টেলিফোন ময়দান এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার দফতরে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ধৃত ওই গ্রাহকের নাম অশোককুমার দাস। বাড়ি কেতুগ্রামের পালটিয়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, পেশায় ব্যবসায়ী অশোকবাবু এ দিন ওই বিমা সংস্থায় একটি পলিসির কিস্তি বাবদ প্রায় ২৮ হাজার টাকা জমা দিতে আসেন। তিনি সে জন্য ৫৬ টি ৫০০ টাকার নোট জমা দেন। টাকাগুলি হাতে নিয়ে ওই দফতরের কর্মী কল্যাণ যশ তাঁকে জানান, নোটগুলি জাল।
সংস্থার দফতরে ধৃতেরা। —নিজস্ব চিত্র।
কল্যাণবাবু ওই বিমা সংস্থার কাটোয়া শাখার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অশোক মজুমদারকে পুরো ঘটনাটি জানান। তারপর পুলিশে খবর দেন অশোকবাবু। অশোকবাবু বলেন, “অনেক সময়ে একটা দু’টো জাল নোট পাওয়া যায়। আমরা সেই সেই সব জাল নোট নষ্ট করে দিই। কিন্তু এক সঙ্গে ৪৬টি ৫০০ টাকার জাল নোট পাওয়ার পর পুলিশে খবর দিই। এতগুলি জাল নোট কীভাবে এল তা পরীক্ষা করে দেখুক পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জাল নোট পাওয়ার পরেই গ্রাহক অশোককুমার দাসকে ম্যানেজারের ঘরে বসিয়ে জেরা করেন ওই বীমা সংস্থার কর্মী ও এজেন্টরা। জেরায় অশোকবাবু জানান, চাল বিক্রি করে নারেঙ্গা গ্রামের অমৃত লাহার কাছ থেকে টাকাগুলি তিনি পেয়েছেন। এর পর সংস্থার কর্মীরাই অমৃতবাবুকে ডেকে নিয়ে আসেন ওই সংস্থার দফতরে। সেখান থেকে তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
অশোকবাবু বলেন, “নিজের অজান্তেই ওই টাকা জমা দিয়েছি আমি।” অন্য দিকে, অমৃতবাবুর বক্তব্য, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। জাল টাকা দিয়েছি জানলে কি আর এজেন্টদের কথায় ছুটে আসতাম!” কাটোয়া থানার ওসি সনৎ দাস অবশ্য বলেন, “ধৃতদের জেরা করলে বোঝা যাবে, ওই জাল নোট কীভাবে এল। আশা করি, জাল নোটের কারবারিদের ধরা যাবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.