দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে রায়গঞ্জের কুলিক সেতু দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাস মালিকদের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অবিলম্বে সেতু মেরামত করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নামারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাশাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “কুলিক সেতুর বর্তমান পরিস্থিতি কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে তা মেরামত করার অনুরোধ করা হবে।” রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাস লাগোয়া কুলিক সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কলকাতা, শিলিগুড়ি ও বালুরঘাট রুটের বাস, পণ্যবাহী ট্রাক-সহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করে। বাস মালিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে প্রায় ৪০ মিটার লম্বা ওই সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহনের চলাচলের সময়ে সেতুটি কাঁপছে। সেতুর রেলিংয়ের একাংশও ভেঙে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে সেতুর দুই দিকের সংযোগস্থলের রাস্তায় একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুর ওপরের বিভিন্ন অংশের রাস্তা ভেঙে গিয়ে অসংখ্য ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক চন্দ বলেন, “অবিলম্বে কুলিক সেতু মেরামত করা না হলে তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কার কথা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। অবিলম্বে সেতু মেরামতের দাবি জানানো হয়েছে। অবিলম্বে সেতু সংস্কার করা না হলে পরিবহণ ধমর্ঘট ডাকা হবে।” সেতু সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “কুলিক সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়লেও প্রশাসনের কোনও তৎপরতা নেই। সেতুটি অবিলম্বে মেরামত করা না হলে দলের তরফে জন্য আন্দোলনে নামা হবে।” জেলা বামফ্রন্টের সচিব অপূর্ব পাল বলেন, “গত বছর নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতু মেরামত করা হয়েছিল। সেই কারণেই এবছর ভরা বর্ষায় কুলিক সেতু ফের দুর্বল হয়ে পড়েছে। অগস্ট মাসের মধ্যে দাবিপূরণ না হলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা হবে।” তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কুলিক সেতুটির সংস্কারের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য সরকারের আধিকারিকেরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন। আশা করছি, শীঘ্রই সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে।” |