|
|
|
|
|
বৃষ্টি মাথায় বাঁচব, নাচব |
বৃষ্টি এলেই চুলের ভারী দুঃসময় শুরু হয়। সন্ধ্যে পর্যন্ত স্যাঁতসেঁতে থাকে, তাই অল্পেই খসে পড়ে। আর স্ক্যাল্প-এও
লেগে থাকে বিবিধ সমস্যা। কয়েকটা নিয়ম মানলেই কিন্তু জলেও চুল তাজা থাকবে, বললেন কস্তুরী মুখোপাধ্যায় ভারভাদা |
মনের কথা মানতে গেলে টাকার কথা চিন্তা করলে চলবে না। দুটোর মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে। টাকার মায়া করলে পকেটে টাকা নিয়ে চলাফেরা করুন আর অন্যদের দেখে হা-হুতাশ করুন। এক সময়ে আমার মাথাতেও ঢেউ খেলত এই নস্টালজিয়া আঁকড়ে বসে না থেকে কয়েকটা দরকারি কাজ করুন।
ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চুলের যত্নের ও চাহিদার পরিবর্তন ঘটে। গরমে রুক্ষ চুল, বর্ষা কালের স্যাঁতসেঁতে চুল, শীত কালের খুশকি ভর্তি চুল। সুতরাং চুলের কাট ও ট্রিটমেন্ট-এর হেরফেরও প্রয়োজন।
বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে চুলের জন্য কয়েকটা বিশেষ স্টাইল আছে। |
|
বর্ষাকালে চুলের দু’টি সমস্যা
বর্ষাকালে গরম একটু কমলেও ভীষণ ঘাম হয়। এই ঘাম থেকে আপনার মাথাও বাদ যায় না। এবং চুলের গোড়ায় ঘাম বসে বিশ্রী একটা দুর্গন্ধ হয়, যা আপনার পাশের লোকটির অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বর্ষাকালে প্রতি দিন হালকা ধরনের কোনও হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে, কন্ডিশনার লাগাবেন। কন্ডিশনার স্ক্যাল্প-এ লাগাবেন না। শুধু চুলে লাগান।
এ সময় চুলের গোড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এ রকম হলে সমপরিমাণ পালং পাতা ও ধনে পাতার মিশ্রণ নারকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে রেখে দিন। সপ্তাহে দু’দিন মাখুন। হাতে সময় খুব কম থাকলে নারকেল তেলের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে নেবেন। নিয়মিত মাখলে চুল ওঠা কমবে। কিন্তু প্রতিটি পদ্ধতি প্রয়োগের পর অবশ্যই শ্যাম্পু করবেন।
নিট হেয়ার কাট
এ সময় প্রথমেই একটা অন্য রকম হেয়ার কাট করিয়ে নিতে হবে। চুলটা ছোট করে একটা ‘নিট হেয়ার কাট’ নিয়ে নিন। সালোঁ’তে গিয়ে এ কথা বললেই আপনি কী চাইছেন তাঁরা বুঝে নেবেন। এই কাটটির অন্য নাম ‘কর্পোরেট লুক’। এটি বেশি লম্বা হয় না। পেছনের অংশ ও পাশ দু’টি ছোট থাকবে, মধ্যবর্তী অংশটি মাঝামাঝি থাকবে। অর্থাৎ খুব ছোট হবে না। প্রতি দিনের যত্নের জন্য খুব কম সময় লাগবে। নিয়মিত শ্যাম্পু করলেই চুল সেট থাকবে।
হট হেয়ার কাট
এই হেয়ার কাটটি বর্ষাকালে বেশি উপযুক্ত। তবে বছরের অন্য সময়েও এই স্টাইলটি করতে পারেন। যাঁরা কলেজে পড়েন, নিয়মিত দশটা-ছ’টার চাকরিতে যুক্ত নন, তাঁরা অনায়াসেই এই হেয়ার কাটটি করিয়ে নিতে পারেন। পাশ দুটো অগোছালো ভাবে, একটু ছোট-বড় হিসেবে কাটা থাকবে। মাঝেমধ্যে কোথাও লম্বা, কোথাও আবার ছোট এই ভাবে চুল কাটা হয়। ফলে চুল খুব ছোটও হয় না, এবং বর্ষাকালে চুলের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়াও সম্ভব হয়। এই ভাবে দুটি দিকই বজায় রাখা যায়।
চুলের রং
বর্ষাকালে কোনও গাঢ় রং ব্যবহার করবেন না। এই ঋতুর জন্য বেছে নিন হালকা কোনও রং। এখন বাজারে অ্যামোনিয়া মুক্ত অনেক রং এসেছে। সেগুলি ব্যবহার করুন। কালোর মধ্যে বেগুনি, কালোর মধ্যে লাল এগুলি লাগাতে পারেন। সাধারণ ভাবে কিছু বোঝা যাবে না, কিন্তু রোদের মধ্যে হালকা ভাবে এই রংগুলি চোখে পড়বে। এ ছাড়া যে কোনও ধরনের বেস কালার বর্ষাকালে বিশেষ উপযোগী। কোনও উজ্জ্বল রং চলবে না। |
|
|
|
|
|