চিকিৎসকদের গরহাজিরা রুখতে এ বার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকদের ফাঁকি দেওয়া আটকাতে বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন তাঁরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শীঘ্রই মেডিক্যালে ওই যন্ত্র বসানো হবে। কিন্তু যতদিন না যন্ত্র বসছে ততদিন গরহাজিরা রুখতে খাতাতেই সই করতে হবে চিকিৎসকদের। যাতে কেউ অন্য কারও সই করতে না পারেন তাই প্রত্যেক চিকিৎসকদের সইয়ের নমুনা সংগ্রহও করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বেশিরভাগ চিকিৎসকই সপ্তাহে দু-তিন দিনের বেশি থাকেন না। এমনকী কোনও কোনও চিকিৎসক একদিন বা দেড়দিন হাসপাতালে থাকেন। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। সমস্যায় পড়েন রোগীরা। এর আগেও একাধিকবার এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। হাসপাতাল ভাঙচুর থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের উপর হামলার অভিযোগও উঠেছে। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে ও উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই এবার হাজিরার উপর জোর দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শুদ্ধদন বটব্যাল বলেন, “খাতায় হাজিরা নিয়েও অনেক সময়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই আমরা চাইছি বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসাতে। তিনটি বায়োমেট্রিক যন্ত্র চাওয়া হয়েছে। শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলেই আশ করছি।”
মেদিনীপুর মেডিক্যালে রোগীর চাপ বেশি এবং চিকিৎসক কম। ব্লক বা মহকুমা থেকেও অনেক রোগীদেরই ‘রেফার’ করা হয়। তাই রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এবার সপ্তাহে দু-তিন দিন নয় চিকিৎসকদের কমপক্ষে চারদিন হাসপাতালে থাকতেই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকদের সুবিধামতো চার দিন বেছে নেওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকেই চারদিন থাকার কথা জানিয়েও থাকছেন না এবং তাঁর পরিবর্তে অন্য কেউ সই করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংক্ষিপ্ত সই করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে ধরা আরও সমস্যার হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা মেটাতেই বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যতদিন না তা হচ্ছে ততদিন হাজিরার ব্যাপারে কঠোর হতে চলছে নমুনা সই সংগ্রহ। |