টুকরো খবর |
ব্যাটারি চালিত হৃৎপাম্প, সফল হল প্রতিস্থাপন
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
বছর আটেক আগের একটা দুর্ঘটনা। আর তাতেই প্রায় বিকল হতে বসেছিল বেরি ওয়েডের হৃদ্যন্ত্র। কিন্তু ৬০ বছরের বেরি এতটাই অসুস্থ ছিল যে প্রয়োজন থাকলেও হৃৎপিণ্ড বদলানোর ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না ডাক্তাররা। পেসমেকার বসাতে গেলেও অস্ত্রোপচারের করতে হত। যা তাঁর ক্ষেত্রে সম্ভব ছিল না। এ দিকে হৃৎপিণ্ড কাজ করা প্রায় বন্ধ করে দেওয়ায় মরতে বসেছিলেন বেরি। উপায় না দেখে অবশেষে এক অভিনভ পন্থার আশ্রয় নেন লন্ডনের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ছোট্ট একটা অস্ত্রোপচার করে নতুন ধরনের একটা পাম্প বসিয়ে দেন বেরির শরীরে। আর তাতেই কেল্লাফতে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছেন বেরি। শীঘ্রই বাড়ি ফিরে যাবেন তিনি। টাইটেনিয়ামের তৈরি ১২ আউন্সের একটা পাম্প। নাম ‘হার্টমেট২’। চলে পোর্টেবেল ব্যাটারিতে। দরকার মতো রিচার্জ করানো যায় ব্যাটারিটা। চিকিৎসকদের দাবি, এর ফলে কখনওই বদলাতে হবে না ‘হার্টমেট২’-কে। আর কোনও কারণে ব্যাটারি খারাপ হয়ে গেলে বিকল্প ব্যাটারিরও ব্যবস্থা রয়েছে এই ‘হার্টমেট২’-তে। শুধু হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বজায় রাখাই নয়, এই পাম্প সারা দেহের রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই পাম্পের আবিষ্কার বছর কয়েক আগে হলেও, বেরিই প্রথম ব্যক্তি যাঁর দেহে সাফল্যের সঙ্গে ‘হার্টমেট২’-কে বসানো হল। ওই বেসরকারি হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ স্টিভ শ বলেন,“বেরির সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আরও অনেক চিকিৎসকই ‘হার্টমেট ২’ প্রয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন। আর তখনই বোঝা যাবে, মানুষের দেহে ‘হার্টমেট ২’ কতটা ।”
|
চিকিৎসক বদলি, সমস্যায় জেরবার জঙ্গিপুর হাসপাতাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
নিত্য নানা সমস্যা নিয়ে জেরবার জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল। প্রসূতির ভিড়, চিকিৎসকের অভাব, পথ্যের দেখা নেইনিরবিচ্ছিন্ন এই সমস্যার ভিড়ে আচমকা প্রসূতি বিভাগের সাকুল্যে পাঁচ চিকিৎসকের এক জনের আচমকাই এসেছে বদলির অর্ডার। রইলো বাকি তিন! কারণ, বিভাগের অন্য এক চিকিৎসক হপ্তাখানেকের ছুটিতে বাইরে। কার্যত তিন জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকেই এখন তাই গড়ে ১৬০ জন প্রসূতি কিংবা স্ত্রীরোগের জটিল সমস্যা নিয়ে আসা রোগীর দেখভাল করতে হচ্ছে। সকাল থেকে দম ফেলার অবকাশ নেই। বেলা এগারোটার সময়ে ‘দিনের প্রথম’ চা মুখে দিয়ে এক চিকিৎসকের তাই খেদোক্তি, “এ ভাবে আর যাই হোক, কাজ হয় না। ভাল করে রোগীই দোখতে পারছি না।” হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডলেরও কপালে ভাঁজ পড়েছে। তিনি জানান, শুধু চিকিৎসকই নন, হাসপাতালের বেশ কয়েকজন নার্সেরও বদলির নির্দেশ এসেছে। তিনি বলেন, “এ অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে হাসপাতাল চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতির কথা স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছি। কিন্তু সাড়া মেলেনি।” হাসপাতালে চতুর্থশ্রেণির কর্মী সংখ্যাও কমতে কমতে এখন পনেরোয় ঠেকেছে। ইতিমধ্যেই অনেকে অন্যত্র বদলি হয়েছেন। কিন্তু সেই পদে আর লোক আসেনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ জন স্ত্রীরোগ সংমস্যা নিয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। তার উপরে আছে প্রসূতির ভিড়। গড়ে অন্তত ৪৫টি প্রসব হয় ওই প্রসূতি সদনে।
|
শুশুনিয়ার গ্রামে দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • ছাতনা |
শুশুনিয়া পাহাড় লাগোয়া আদিবাসী অধ্যুষিত নাংলা গ্রামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয়ের উদ্বোধন হল বুধবার। উদ্বোধন করেন ছাতনার বিধায়ক শুভাশিস বটব্যাল। তিনি বলেন, “এই এলাকায় এত দিন সে ভাবে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল না। শরীর খারাপ হলে এখানকার বাসিন্দাদের প্রায় ১০কিলোমিটার দূরে ছাতনা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হত। এ বার থেকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁরা বিনামূল্যে নিজেদের এলাকাতেই চিকিৎসা করাতে পারবেন।” এই দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্রটি গড়ার পিছনে রয়েছেন কলকাতার কসবা থানা এলাকার বাসিন্দা গৌতম বসু। তিনি বলেন, “বেশ কয়েক বছর আগে শুশুনিয়ায় এসেছিলাম। তখন থেকেই এখানকার বাসিন্দাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা ছিল আমার। তাই তাঁদের জন্যই এই দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র গড়া হল।” তিনি জানিয়েছেন, নাংলা গ্রামের রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, গুরুপদ মুর্মু মেমোরিয়াল হেলথ হোম। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত প্রতি ১৫ দিন অন্তর কলকাতা থেকে দু’জন করে চিকিৎসক এখানে আসবেন। কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে প্রতিদিনই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা থাকবে। ছাত্রছাত্রীরাই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির দেখভাল করবে। জ্বর, পেট খারাপের মতো কিছু সাধারণ রোগের ওষুধ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের এখানে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।” রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হওয়ায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে আমাদের স্কুলের আবাসিক ছাত্রছাত্রীদেরও সুবিধা হবে।”
|
বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু, ভাঙচুর হাসপাতালে
নিজস্ব সংবাদাতা • জঙ্গিপুর |
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে এক রোগী-মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে ওই হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রোগীর বাড়ির লোকজন। পুলিশ জানায়, এ দিন রাতে জহিরুল আলম (১৮) নামে এক যুবক পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। অভিযোগ, ঘণ্টা তিনেক হাসপাতালে পড়ে থাকলেও তার কোনও চিকিৎসাই হয়নি। রাত এগারোটা নাগাদ ওই যুবক মারা গেলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় তার বাড়ির লোকজন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিলেও এ ব্যাপারে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। কেন? হালপাতালের বর্হিবিভাগে তছনছ হয়ে যাওয়া ভাঙা টেবিল চেয়ারের স্তুপের সামনে দাঁড়িয়ে এ প্রসঙ্গে পুলিশ অবশ্য কোনও সদুত্তোর দিতে পারেনি। হাসপাতাল সূত্রেও ওই যুবকের মৃত্যুর কোনও স্পষ্ট কারণ জানানো হয়নি। যুবকের বাড়ির লোকের ্ভিযোগ, কোনও চিকিৎসকই ওই অসুস্থ যুবককে দেখেননি, কেন? উত্তর মেলেনি।
|
অ্যাম্বুল্যান্স পেল পানিট্যাঙ্কি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পানিট্যাঙ্কি এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুনীল তিরকি। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে পানিট্যাঙ্কি রুরাল অ্যান্ড এডুকেশনাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটির হাতে ওই অ্যাম্বুল্যান্স তুলে দেওয়া হয়। এতদিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা ছিল না। ওই অনুষ্ঠানে এদিন বুড়াগঞ্জ পঞ্চায়েতের ৭৭ জন, বিন্যাবাড়ি পঞ্চায়েতের ১৩০ জন, খড়িবাড়ি পঞ্চায়েতের ৫০ জন এবং রানিগঞ্জ পানিশালি গ্রপঞ্চায়েতের ১৩ জন বাসিন্দার হাতে ইন্দিরা আবাস ঘরের টাকা দেওয়া হয়। স্বামী মারা গিয়েছেন এমন ২৭ মহিলার হাতে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
|
টিকাকরণ ব্যাহত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
মালবাজার মহকুমা জুড়ে শিশুদের টিকাকরণ কর্মসূচী প্রায় বন্ধের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। পোলিও, বিসিজি-সহ শিশুদের টিকাগুলির মহকুমা জুড়ে সরবরাহ কমে আসছে। মালবাজার, নাগরাকাটা, মেটেলি তিনটি ব্লকের হাসপাতাল বা সাব সেন্টারগুলিতে একই অবস্থা। মালবাজার ব্লকে মৌলানি পঞ্চায়েতে একেবারেই টিকা বা ওষুধ নেই বলে জানান জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপ দেব সিংহ।
|
জুনিয়র ডাক্তার ধর্মঘট ধানবাদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটে গত কাল রাত থেকে ধানবাদের পাটলিপুত্র মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে এক দল মারমুখী জনতা গত রাতে হাসপাতালে চড়াও হয়। জনতার হাতে নিগৃহীত হন কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার। এর পরেই নিরাপত্তার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মঘট শুরু করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিকেলের দিকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে।
|
ক্যানসারের ওষুধ পরীক্ষার অনুমতি
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ক্যানসার নিরাময়ে একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহারের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।
ওষুধটির আবিষ্কার করেছেন চিকিৎসক এ এম মাথুর। ‘ওয়ার্ল্ড হোমিওপ্যাথিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ নামে একটি সংস্থার দাবি, ক্যানসার রোগীদের একটি বিকল্প চিকিৎসার সন্ধান দিতে পারে এই ওষুধটি। বিষয়টি নিয়ে তারাই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথি গবেষণা পরিষদকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। |
|