ফের ভাঙনের ভ্রূকুটি শান্তিপুরের গবারচর।
গঙ্গার গা ঘেঁষা গবারচরের কাছে রাতভর এমন নদী-গ্রাসের আশঙ্কা অবশ্য নতুন নয়। গ্রামবাসীরা বছর দুয়েক ধরেই গবারচরের শ্মশানঘাট এলাকার ‘মায়া’ ছেড়েছেন। বলছেন, জানি নদী ওই এলাকাটা প্রথমে খাবে। তারপরে আমাদের। তবুও মরিয়া চেষ্টা করতে কসুর করেননি তাঁরা। কখনও মাটি ফেলে গ্রামীণ বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কখনও বা বোল্ডার ফেলে বাঁধ তোলার প্রয়াস। কিন্তু নদী বাগ মানেনি। এ বারের নিভু নিভু বর্ষাতেও নদী ফের ফুঁসে উঠেছে শেষ বেলায়। পাড় থেকে ঝুপ ঝুপ মাটি পড়েই চলেছে ক্রমাগত। |
গবারচর ফি বছরেই তার কিছু জমি নদীর বুকে হারায়। গত দু-বছর ধরে এটাই দস্তুর। নদী ক্রমেই এগিয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই কয়েক ঘর মানুষ গ্রাম ছেড়েছে। এ বার তালতলাপাড়া এলাকায় দিন কয়েক ধরে নদী হামলে পড়েছে। জেলা প্রশাসনিক কর্তারা বার কয়েক ঘুরে গিয়েছেন গবারচর। কিন্তু নদীর কোপ থেকে গ্রাম বাঁচানো যায়নি। কপালে ভাঁজ পড়েছে তাঁদের। দিন কয়েক বিরতির পরে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙন। তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শুঘু ঘরবাড়ি নয়, নদীর গ্রাসে গিয়েছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটিও। গত বারের স্মৃতি আঁকড়ে গ্রামের ৭০টি পরিবার এখন দিন গুনছেন। শান্তিপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের অজয় দে বলেন, “গবারচরের ওই এলাকায় প্রায় ২২ মিটার এলাকা জুড়ে বাঁধ তৈরির একটি প্রকল্প জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দফতরকে পাঠিয়েছে। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের কাজে আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। আশা করছি দ্রুত বাঁধ তৈরি শুরু হবে। বাঁধ দিতে পারলে সমস্যা অনেকটাই মিটবে।”
কিন্তু বাঁধে নদী বাগ মানবে কি! |