|
|
|
|
নিখোঁজ চাদর বিক্রেতার বাড়ির লোকদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক বছর হতে চলল। এখনও কেশপুরের দুই নিখোঁজ ব্যক্তির কোনও সন্ধান পাওয়া গেল না। সম্প্রতি বিনপুর থানা এলাকার চুয়াশোলের একটি কুয়ো থেকে কিছু হাড়গোড় ও জামা-কাপড়ের টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলি কেশপুরের দুই নিখোঁজ ব্যক্তির কি না জানতে দেখানো হয় পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু হাড়গোড় বা কাপড়ের টুকরো দেখে পরিবারের লোকেরা একশো ভাগ নিশ্চিত হয়ে কিছু বলতে পারেননি। তাই নিখোঁজ মহম্মদ মেকাইল ও আজফার আলি মল্লিকের বাবা ও মায়ের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হল বৃহস্পতিবার। পুলিশ জানিয়েছে, রক্তের নমুনা পাঠানো হবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। হাড়গোড়ের নমুনার সঙ্গে রক্তের নমুনা মিলছে কি না খতিয়ে দেখবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ২০১১ সালের ২৩ অগস্ট কেশপুর থানা এলাকার কলাগ্রাম থেকে চাদর বিক্রি করতে গিয়েছিলেন ৮ জন। গ্রামে-গ্রামে চাদর ফেরি করেই তাঁদের সংসার চলত। তার মধ্যে ৬ জন বাড়ি ফিরলেও দু’জনের সন্ধান মেলেনি। ওই সময় বিনপুর এলাকায় মাওবাদী প্রভাব ছিল একটু বেশি। স্বাভাবিক কারণেই মাওবাদীরা ওই দু’জনকে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহ দেখা দেয়। কিন্তু এতদিন পরেও কোনও খোঁজ না মেলায় আদপে তাঁরা বেঁচে রয়েছেন কি না তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিখোঁজ দুই ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা বারেবারেই থানায় গিয়েছেন, জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু নিখোঁজদের কোনও সন্ধান মেলেনি। সম্প্রতি চুয়াশোল থেকে হাড়গোড় পাওয়ার পর এই ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। নিখোঁজ ওই দু’জনকে মেরে কুঁয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশের একাংশ। এই প্রেক্ষিতে পরিবারের আত্মীয়দের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে হাড়গোড়ের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। মেকাইলের দাদা শেখ ইস্রাফিল বলেন, “প্রায় এক বছর হতে চলল, এখনও তো কোনও খোঁজ মেলেনি। এ বার আমরা সত্যটা জানতে চাই।” |
|
|
|
|
|