|
|
|
|
আজ আদালতে রঞ্জন, বাণেশ্বর |
ইউএপিএ ধারা যুক্ত করার আর্জি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ধৃত মাওবাদী-নেতা রঞ্জন মুণ্ডা ও তাঁর সঙ্গী বাণেশ্বর মুর্মুর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা সংযুক্ত করার আর্জি জানাল পুলিশ। শুক্রবারই ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে এই আবেদন জানায় পুলিশ। প্রসঙ্গত, রঞ্জন ও বাণেশ্বর এখন পুলিশি হেফাজতেই আছেন। আজ, শনিবার তাঁদের ফের আদালতে হাজির করা হবে। রঞ্জন ও বাণেশ্বরকে জেরা করে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ দিন ঝাড়গ্রাম থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র দেখানোও হয়। |
|
ধৃত মাওবাদী-নেতা রঞ্জন মুন্ডা ও তাঁর সঙ্গী বাণেশ্বর মুর্মুকে জেরা করে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
ভারতীদেবী জানান, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন রঞ্জনকে সঙ্গে নিয়েই গোপীবল্লভপুরের বড়শোল গ্রামের একটি বাড়ি ও লাগোয়া জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি একে-৪৭ বন্দুক, গুলি ভর্তি দু’টি ম্যাগাজিন, বিভিন্ন ধরনের গুলি, বিস্ফোরক, মাওবাদীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, নগদ টাকা ইত্যাদি। এসপি জানান, তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের ১৩ অক্টোবর ওড়িশায় ময়ূরভঞ্জের চান্দুয়া থানার বান্ডব গ্রামে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন এক প্রাক্তন সাংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন পুলিশকর্মীকে খুন করে দু’টি একে-৪৭-সহ চারটি অস্ত্র লুঠ করেছিল মাওবাদীরা। উদ্ধার হওয়া একে-৪৭টি ওড়িশায় লুঠ হওয়া ওই অস্ত্র গুলিরই একটি বলে ওড়িশার পুলিশ শনাক্ত করেছে। গত ৩ অগস্ট গোপীবল্লভপুর থানার সারিয়া অঞ্চলের চুনঘাঁটি-হেঁসেলডিহি গ্রাম থেকে একটি এসএলআর ও একটি একনলা বন্দুক এবং বেশ কয়েক রাউণ্ড গুলি-সহ মাওবাদী স্কোয়াড-নেতা রঞ্জন মুণ্ডা ও তাঁর সঙ্গী বাণেশ্বর মুর্মু ওরফে শম্ভুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাষ্ট্রদ্রোহ, ষড়যন্ত্র, বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত রাখার মামলা রুজু করে গত ৪ অগস্ট ধৃতদের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। এ বার ওই মামলায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করার আর্জি জানানো হল। |
|
|
|
|
|