টেস্টের এক নম্বরের সিংহাসন থেকে ইংল্যান্ডকে ছিটকে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আরও পরিষ্কার করে বললে, দুই আগুনে পেসার ডেল স্টেইন এবং মর্নি মর্কেলের সামনে অনেকটাই নড়বড়ে দেখাচ্ছে ইংরেজদের এক নম্বরের মুকুট।
লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে প্রথম দিনের স্কোরের সঙ্গে শুক্রবার খুব বেশি রান যোগ করতে পারেনি স্মিথ-বাহিনী। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস এ দিন শেষ হয়ে যায় ৩০৯ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে যায় অ্যান্ড্রু স্ট্রসের ইংল্যান্ড। মাত্র ৫৪ রানের মধ্যে চার উইকেট চলে যায় ইংল্যান্ডের। স্ট্রস (২০), কুক (৭), ট্রট (৮), টেলর (১০) কেউই স্টেইন এবং মর্কেলের পেস সামলাতে পারেননি। দু’জনেই দু’টো করে উইকেট তুলে নেন। ধুঁকতে থাকা ইংল্যান্ডকে কিছুটা অক্সিজেন দেন ইয়ান বেল (৫৮) ও বেয়ারস্টো (৭২ ন:আ:)। তবে চা বিরতির কিছু পরে বেল আউট হয়ে যাওয়ায় একা লড়তে হচ্ছে বেয়ারস্টোকে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড ২০৮-৫। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ১০১ রান পিছিয়ে। বেয়ারস্টোর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন ম্যাট প্রায়র (২২ নটআউট)।
লর্ডস টেস্ট নিয়ে এমনিতেই একটা আবেগের জায়গা তৈরি হচ্ছিল। কারণ এটাই ছিল স্ট্রসের শততম টেস্ট। আট বছর আগে এই লর্ডসেই নিজের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন স্ট্রস। স্বাভাবিক ভাবেই আজ যখন তিনি ব্যাট হাতে ক্রিজের দিকে এগোচ্ছিলেন, স্টেডিয়ামে তখন একটাই জল্পনা চলছিল। প্রথম টেস্টের মতো লর্ডসে নিজের শততম টেস্টেও স্ট্রস সেঞ্চুরি করবেন কি না?
কিন্তু সেই আবেগ হতাশায় বদলে যেতে সময় নেয়নি। প্রথম ধাক্কাটা দেন মর্কেল। স্ট্রসকে বোল্ড করে। তার পরই ‘স্টেইন’-গানের গুলিবর্ষণ শুরু। এক রানের ব্যবধানে কুক ও ট্রটকে তুলে নেন স্টেইন। প্রথম ইনিংসে এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকাও ছিল। ৫৪ রানে তাদেরও চার উইকেট চলে গিয়েছিল। ডে’ভিলিয়ার্স-রুডলফ-দুমিনি মিলে অবস্থা সামলে দেন। প্রায়র-বেয়ারস্টোরা ‘দুমিনি’ বা ‘রুডলফ’ হয়ে উঠতে পারেন কি না, সেটাই দেখার। |