আইএফএ বনাম মোহনবাগান লড়াই শুক্রবার আরও তীব্র আকার নিল।
রাজ্য ফুটবল সংস্থার অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে মোহনবাগান এ দিন ফের জানিয়ে দিল তারা আজ সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে টিম নামাচ্ছে না। এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি সবুজ-মেরুন কর্তারা। পেরেন্ট বডির বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করে সচিব অঞ্জন মিত্র বলে দিলেন, “আইএফএ যা করছে তাতে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার কথা ভাবছি।” সরাসরি টোলগের নাম না করলেও আইএফএ-র বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের জন্যই।
টোলগে নিয়ে আইএফএ-র সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মোহনবাগান যে অসহযোগিতার পথে হাঁটবে তার প্রাথমিক ইঙ্গিত মিলেছে এ দিন। সচিব জানিয়ে দিয়েছেন, “আমাদের মাঠে কোনও ম্যাচ করতে হলে অন্তত ৫০ জন নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে আইএফএ-কে। না হলে আমাদের মাঠে ম্যাচ হবে না। গ্যালারির পুনর্নিমাণ হচ্ছে। ভাঙা গ্যালারিতে উঠে যদি কোনও দর্শক বিপদে পড়েন তার দায়িত্ব কে নেবে?”
টোলগে বিতর্ক মেটাতে অবশ্য আইএফএ এ দিন আবার চিঠি পাঠিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, “আমি ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিয়েছি। ওদের কার্যকরী কমিটিকে তাদের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছি।” কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কি তাদের মনোভাব বদলাবে? অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “আমি কলকাতার বাইরে আছি। ফিরে এসে কমিটির বাকিদের সঙ্গে কথা বলে এ নিয়ে মন্তব্য করব।” সিদ্ধান্ত বিবেচনার জন্য ইস্টবেঙ্গলের হাতে সময় থাকছে আগামী বুধবার পর্যন্ত।
মোহনবাগান অবশ্য আর ‘সময়’ দিতে রাজি নয়। কলকাতা লিগের ম্যাচ না খেলে সেই বার্তা আইএফএ-কে দিতে চাইছেন অঞ্জন মিত্ররা। সরাসরি টোলগের কথা না বলে মোহনবাগান এ দিনও জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় শিবির থেকে ফুটবলাররা ছাড়া না পেলে মোহনবাগানের পক্ষে ঘরোয়া লিগে খেলা সম্ভব নয়। শুক্রবার মোহন-সচিব বলেন, “শনিবার এবং ২৬ অগস্ট প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলব না। আমরা ‘ওয়াকওভার’ দিতেও রাজি।” এখন দেখার চাপের মুখে আইএফএ শেষ পর্যন্ত আজকের ম্যাচ স্থগিত করে দেয় কিনা। |