এ বার অনূর্ধ্ব ২৫ দল নির্বাচন নিয়েও বিতর্কের মুখে দীপের কমিটি
সিনিয়র দল নির্বাচন নিয়ে তুমুল বিতর্কের পরে বাংলা ‘এ’-র প্রাথমিক দল নির্বাচন নিয়েও এ বার বিতর্ক তাড়া করতে শুরু করল সিএবি-কে। শেষমেশ সংস্থার কর্তাদের মেনে নিতে হল, দল নির্বাচনের পদ্ধতিতেই গন্ডগোল ছিল।
বাংলার সিনিয়র দল নির্বাচন নিয়ে একপ্রস্থ অশান্তি তো আছেই। পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারকে একসঙ্গে ছাঁটাই করে রীতিমতো চাপের মুখে দীপ দাশগুপ্তের নির্বাচন কমিটি। সেই ঘটনার দু’দিনও কাটেনি, উল্টে আবার নতুন বিতর্ক বাঁধল ‘এ’ দল নির্বাচন নিয়ে। তবে এ বার বিতর্কের কেন্দ্রে একা দীপ দাশগুপ্ত নন, বরং অনেক বেশি অভিযুক্ত সিএবি-র যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়।
ঘটনাটা কী? গত রবিবার বাংলা ‘এ’ প্রাথমিক দল বাছা হয়। যে দলের কোচ বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার দেবাঙ্গ গাঁধী। সেখানে ষাট জন ক্রিকেটারের নাম দেখে অনেক কর্তারই চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বলা হয় অনেক যোগ্য ক্রিকেটার ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বৃহস্পতিবার নতুন করে ২২ জনের নাম তালিকায় যোগ করা হয়। মোট ক্রিকেটারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮২-তে! এখানেই শেষ হলে তবু কথা ছিল। তালিকা ঘাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৩০ জন এমন ক্রিকেটারকে নেওয়া হয়েছে যাঁদের বয়স পঁচিশ বা তার বেশি। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ‘এ’ দলে অনূর্ধ্ব-২৫ ক্রিকেটাররাই শুধু থাকতে পারবেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটিরই প্রস্তাব ছিল সেটা। কিন্তু সিএবি-তে সৌরভ-ঘনিষ্ঠ সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ই জানিয়ে দিচ্ছেন, এমন নিয়মের কথা নাকি তিনি জানতেনই না!
“আমরা বিভ্রান্তিতে ভুগছিলাম। নিয়মটা যে ঠিক কী, সেটা পরিষ্কার করে বলেনি বোর্ড। আজ বোর্ডে ফোন করে জানতে পারি,” বলেছেন সুজন। কিন্তু তাঁর এই যুক্তি হাস্যকর ঠেকছে সিএবি-র বাকি কর্তাদের কাছে। বলা হচ্ছে, সংস্থার সচিব হয়ে কেন তিনি নিয়ম জানবেন না? আর না জেনেশুনে দল নির্বাচনেই বা বসে গেলেন কেন? বরং সিএবি-র অন্যান্য পদস্থ কর্তারা মনে করছেন, ভুলকে ভুল হিসেবে দেখাই ভাল। অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। ইতিমধ্যেই তালিকা থেকে ঝাড়াই-বাছাই শুরু হয়ে গিয়েছে। পঁচিশের উপর যে সব ক্রিকেটাররা আছেন, তাঁদের অনেককেই ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। সিএবি-র একটি প্রভাবশালী মহলের বক্তব্য, সুজন মুখোপাধ্যায়ের জমানায় যখন দল নির্বাচন ঘিরে এত বিতর্ক, তা হলে সিনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্ব অন্য যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়কে দিয়ে দেওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে সুজন থাকুন জুনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্বে। প্রসঙ্গত, এর আগেও সুজনকে সিনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। কিন্তু সুজনের পক্ষে তখন বলা হয়, যেহেতু তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার, তাঁর সঙ্গে ক্রিকেটাররা অনেক স্বচ্ছন্দ হতে পারবেন।
সিএবি-র ওই প্রভাবশালী মহলের যুক্তি, দীপের পক্ষে সমস্ত ক্রিকেটারের ঠিকুজি কোষ্ঠী নিয়ে বসা সম্ভব নয়। স্বয়ং দীপ বলছেন, “আমার কাছে ক্রিকেটারদের বার্থ সার্টিফিকেট নেই। আমাকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে ক্রিকেটারদের বেছেছি।” কিন্তু কোন যুক্তিতে প্রাথমিক দলে ৮২ জন ক্রিকেটার আছেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এত জন ক্রিকেটার সামলাতে কতটা অসুবিধা হবে, তা নিয়ে কোচ দেবাঙ্গ গাঁধীকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর বক্তব্য, “এটা তো নির্বাচকদের ব্যাপার। যা দল হবে, সেটা নিয়েই আমাকে কাজ করতে হবে।” তবে বাংলা ক্রিকেটমহল মনে করছে, জাতীয় নির্বাচক হওয়ার অন্যতম দাবিদার যখন দীপ, তখন তাঁর কাছ থেকে আরও ভাল পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.