|
|
|
|
জল ছেড়েছে ডিভিসি, সতর্কতা জারি উদয়নারায়ণপুর-খানাকুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া ও আরামবাগ |
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ডিভিসি জল ছাড়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হল হুগলি এবং হাওড়ার একাংশে।
কেননা, বিভিন্ন নদীর জল প্রাথমিক বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অনেক জায়গাতেই বাসিন্দারা প্লাবনের আশঙ্কা করছেন।
রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া শুক্রবার মহাকরণে বলেন, “ঝাড়খণ্ড-সহ ডিভিসি-র বিভিন্ন জলাধার এলাকায় দু’দিন ধরে প্রবল বর্ষণ হয়েছে। সেই জল এসে পৌঁছয় দুর্গাপুর ব্যারাজে। বাড়তি জলের চাপ কমানোর জন্য ওই ব্যারাজ থেকে জল ছাড়তে বাধ্য হয় ডিভিসি।” মন্ত্রী জানান, বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার জেলাশাসক, বিডিও এবং পঞ্চায়েতকে সতর্ক করা হয়েছে। সেচ দফতরের এই তিনটি জেলার অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ডিভিসি-র ছাড়া জলে সাধারণত প্লাবিত হয় হুগলির খানাকুল-১, খানাকুল-২ এবং আরামবাগ ব্লকের একাংশ এবং হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লক। শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ ডিভিসি ৮৫ হাজার ৭২৩ কিউসেক জল ছাড়ে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পরেই খানাকুল-২ ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েত এলাকাতেই মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মাড়োখানা, পানশিউলি, বন্দর, শাবলসিংহপুর, চিংড়া এবং পলাশপাইয়ের মতো নিচু এলাকাগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। খানাকুল-১ ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বালি, অরুণ্ডা, রামমোহন-১ ও ২ এবং তাঁতিশাল পঞ্চায়েতেও মাইকে প্রচার চলে।
এ দিন বিকেলে আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “আগাম সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। তবে, এখনও পর্যন্ত যা জলের উচ্চতা, তাতে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। নদীর জল দ্রুত নেমে যাচ্ছে।” সেচ দফতরের মুণ্ডেশ্বরী সাব-ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, দামোদর নদীর জল প্রাথমিক বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
তবে, মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল প্রাথমিক বিপদসীমার নীচে রয়েছে। খানাকুলের দু’টি ব্লকের বহু মানুষের আশঙ্কা, বেশ কিছু নদীবাঁধ ভঙ্গুর থাকায় তা কম জলের চাপও সহ্য করতে পারবে না। তাতে লোকালয় প্লাবিত হতে পারে। হাওড়া জেলা সেচ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিভিসি-র ছাড়া জল উদয়নারাণয়পুরে দামোদরের বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সেই কারণে জেলা প্রশাসন, উলুবেড়িয়া মহকুমা প্রশাসন এবং উদয়নারাণপুর ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে সেচ দফতরের বাস্তুকাররা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|