পরপর দু’দিন ‘ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি’র (এফএসএল) রিপোর্ট ও আলামত সামগ্রী আদালতে জমা না দিতে পারায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার এক নাবালিকা ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।
সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে এই মামলায় প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে দিন ধার্য হয়েছিল। কিন্তু এফএসএল রিপোর্ট ও ঘটনার আলামত সামগ্রী (রক্তমাখা ফ্রক, প্যান্ট, রক্তমাখা মাটি) আদালতে না পৌঁছনোয় বিচারক এই দু’দিন সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।” তিনি আরও বলেন, “তদন্তকারী অফিসার লিখিত ভাবে বিচারককে কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী আজ, শনিবার ফের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।” অন্য দিকে, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার অরূপকুমার দত্ত বলেন, “ল্যাব থেকে এখনও রিপোর্ট না পাঠানোতেই তা জমা দেওয়া যায়নি।” নিহত বালিকার বাবা সন্তোষকুমার দত্ত ও দুই প্রতিবেশী সুবোধবরণ লাহা ও নিতাই লাহা-সহ গত দু’দিনে মোট তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত হয়েছে।
বিচারকের নির্দেশে এই মামলায় প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল ১৬-২২ অগস্ট। কিন্তু ঘটনার তদন্তকারী অফিসার অরূপকুমার দত্ত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হলেও, এফএসএল রিপোর্ট ও আলামত সামগ্রী নিয়ে আসতে পারেননি। বিচারকের নির্দেশে শনিবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১০ ডিসেম্বর নানুর থানার সাঁতরা গ্রামের বাসিন্দা ৮ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। ওই নাবালিকার বাবা সন্তোষকুমার দত্ত-র অভিযোগে বিনয় মাঝি নামে গ্রামেরই এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তপনবাবু বলেন, “নিহতের বাবার অভিযোগ, নবান্নের সময় ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লজেন্স দেওয়ার নাম করে ওই নাবালিকাকে কোলে করে নিয়ে গিয়েছিল বিনয়। গ্রামের কাছে চরকডাঙা মাঠে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েকে খুন করে পানা পুকুরে ফেলে দেয়।” ঘটনার কথা জানতে পেরে সন্তোষবাবু নানুর থানায় অভিযোগ জানালে সেদিন রাতেই পুলিশ বিনয়কে গ্রেফতার করেছিল।” |