ফের মন্দিরে চুরি। রামপুরহাট মহকুমা জুড়ে মন্দিরে চুরির ঘটনায় কোনও খামতি নেই। এই তালিকায় নতুন সংযোজন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রামপুরহাটের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহাজনপট্টি রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে চুরি। সেখানে মন্দিরের তালা ভেঙে বিগ্রহের গয়না ও প্রণামী বাক্স চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা।
সম্প্রতি রামপুরহাট মহকুমার রামপুরহাট, ময়ূরেশ্বর, মাড়গ্রাম, নলহাটি থানাগুলিতে একের পর এক মন্দিরে চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষের মনে রীতি মতন ভীতির সঞ্চার হয়েছে। কোনও ঘটনারই এখনও পর্যন্ত পুলিশ কিনারা করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া শতাব্দী প্রাচীন সব দুর্মূল্য বিগ্রহ, লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না। |
খুব সম্প্রতি ময়ূরেশ্বর থানার বীরচন্দ্রপুরের ঐতিহ্যবাহী বাঁকা রায় ও জগন্নাথ মন্দির থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও বিগ্রহ চুরি গিয়েছিল। ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। পুলিশ তখন সাত দিনের মধ্যে চুরির কিনারা করার আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু তা আশ্বাস রূপেই থেকে গিয়েছিল। এক মাসেও চুরির কিনারা হয়নি। অন্য দিকে, রামপুরহাট মা ভবতারিণী মন্দিরে চুরির ঘটনার কিনারার দাবিতে এলাকাবাসী রামপুরহাট-দুমকা রাস্তা অবরোধ থেকে মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া সব রকম প্রতিবাদ জানালেও কাজেক কাজ কিছু হয়নি। |
পুলিশি আশ্বাস সত্ত্বেও দু’ মাস পার হলেও চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার বা চোরকে গ্রেফতার কিছুই করতে পারেনি তারা। একই ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য চুরিগুলির ক্ষেত্রেও।
স্বভাবতই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। রামপুরহাটের বাসিন্দা, পেশায় আইনজীবী সত্যপদ ভট্টাচার্যের ক্ষোভ, “চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পরপর চুরির ঘটনা ঘটে চললেও পুলিশ কোনও কিছুই করতে পারছে না।” স্থানীয় ব্যবসায়ী সঞ্জয় কেশরী বলেন, “প্রায় প্রত্যেকদিনই চুরি হচ্ছে। চুরি আটকাতে ব্যর্থ তো হচ্ছেই, কিন্তু চুরির কিনারাও করতে পারছে না পুলিশ।”
জেলার পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা-র অবশ্য দাবি, “চুরি আটকাতে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। কিছু অপরাধীকে ধরাও হয়েছে। বৃহস্পতিবারের চুরির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।” রামপুরহাটের মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবারই আমি রামপুরহাট থানার আইসির সঙ্গে বৈঠক করেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” |