ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে এক বধূর চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েক জন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ওই বধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এক যুবককে নেড়াও করা হয়। ঘটনাটি মিনাখাঁর উত্তর বামনপুকুর গ্রামের। স্থানীয় থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকারের কাছে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন ওই বধূ। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান এসডিপিও। মিনাখাঁ থানা সূত্রের খবর, মহিলার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগে বিমল মণ্ডল-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
অভিযোগ, ২০১০ সালের ১ মে মহিলার দূরসম্পর্কে আত্মীয় বিমল মণ্ডল তাঁকে ধর্ষণ করেন। গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। বর্তমানে জামিনে মুক্ত তিনি। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে চলতি বছরের ২৮ জুলাই মহিলার উপরে বিমল-সহ বেশ কয়েক জন চড়াও হন বলে অভিযোগ। ওই দিন মহিলার সন্তানদের পড়াতে এসেছিলেন এক গৃহশিক্ষক। মহিলা এসডিপিওকে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ওই গৃহশিক্ষকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে, এই অপবাদে মারধর করে গাছে বেঁধে মহিলার চুল কেটে নেওয়া হয়। নেড়া করা হয় ওই গৃহশিক্ষককে। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে।
মহিলা ও তাঁর স্বামীর দাবি, স্থানীয় থানার পুলিশ বিষয়টি পঞ্চায়েতকে বলে ‘মিটমাট’ করে নিতে বলেছিল। তারপর থেকে নানা ভাবে তাঁদের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ১০ অগস্ট চিঠি মারফত থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার ওই বধূ এসডিপিও এবং একটি মানবাধিকার সংগঠনের দ্বারস্থ হন। এই মহিলার বিরুদ্ধেও নানা কারণে গ্রামের লোক অসন্তুষ্ট বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। |