|
|
|
|
লালগড়ে শুভেন্দু-সুব্রত পাশাপাশি, ‘ঐক্যের বার্তা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লালগড় |
‘পাখির চোখ’ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এখন থেকেই দলের ফাঁকফোঁকর ভরাটে তৎপর হয়ে উঠেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলে কোনও ‘দ্বন্দ্ব’ নেই বৃহস্পতিবার লালগড়ের সভায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং যুব-তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর একসঙ্গে উপস্থিতি জঙ্গলমহলবাসীর কাছে যেন সেই ‘বার্তাই’ পৌঁছে দিতে চাইল।
অথচ এক সপ্তাহ আগেই বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ছিলেন না শুভেন্দু। নিজেই জানিয়েছিলেন, আমন্ত্রণ পাননি, তাই যাননি। এ নিয়ে দলে জল্পনা ছিলই। তার পরপরই পশ্চিম মেদিনীপুরের যুব-তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ দেবাশিস চৌধুরীর ইস্তফা এবং মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ শ্রীকান্ত মাহাতোর নতুন সভাপতি হওয়া, সেই জল্পনা আরও উস্কে দেয়। সব মিলিয়ে এ দিন লালগড়ের রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত সভায় শুভেন্দু আসবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা সংশয়েই ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। শেষমেশ বেলা দু’টো নাগাদ পৌঁছন তমলুকের সাংসদ। |
|
লালগড়ে তৃণমূলের সভায় সুব্রত ও শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র |
বক্তৃতায় বলেন, “নেত্রীর নির্দেশে জঙ্গলমহলের মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। পঞ্চায়েত ভোটে গোটা জঙ্গলমহল ঘাস-ফুলে ভরিয়ে দিতে হবে, মমতাময় করে তুলতে হবে!”
ক্ষমতায় এসে রাজ্যের নতুন সরকার জঙ্গলমহলের মানুষের উন্নয়নে কী করছে, তার খতিয়ান দিতেই এই সভার আয়োজন করেছিল লালগড় ব্লক তৃণমূল ও ব্লক যুব-তৃণমূল। সুব্রত বক্সী ও শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সভায় ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়, জেলার কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত ঘোষ, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, চূড়ামণি মাহাতো,
দুলাল মুর্মু, শ্রীকান্ত মাহাতো প্রমুখ। অর্থাৎ, জেলা রাজনীতিতে যাঁরা মুকুল-ঘনিষ্ঠ ও শুভেন্দু-শিবিরের লোক হিসেবে পরিচিত, সভায় তাঁরা অনেকেই ছিলেন।
গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দুকেই জঙ্গলমহলের দায়িত্ব সঁপেছিলেন মমতা। পশ্চিম মেদিনীপুরে জঙ্গলমহলের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪টিতেই জেতেন তৃণমূল প্রার্থীরা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও জঙ্গলমহলের ‘ভোট-ব্যাঙ্ক’ অটুট রাখতে শুভেন্দু যে অন্যতম ভরসা, এ দিনের সভা তারও ইঙ্গিত বলে দলের একাংশ মনে করছে। শুভেন্দু বলেন, “দীর্ঘ তিন দশক জঙ্গলমহলের পঞ্চায়েতগুলিতে সিপিএম বা ঝাড়খণ্ডী দলগুলি ক্ষমতায় ছিল। মানুষ পঞ্চায়েতের সুফল পাননি। কিন্তু আমাদের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জঙ্গলমহলে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। মাওবাদী, সিপিএম কুৎসা করছে। বিভ্রান্ত হবেন না। আমি তমলুকের সাংসদ, আপনাদের সঙ্গে আছি।” আর সুব্রতবাবুর কথায়, “কখনও দেখেছেন সরকার আপনাদের কাছে আসছে? এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে আপনাদের কাছে আসছেন। ওঁকে কাজ করতে দিন। আপনারা কোনও অপপ্রচারে কান দেবেন না।”
এ দিনের সভাস্থলে দেখা গিয়েছে এক সময়ে জনগণের কমিটির শীর্ষনেতা অসিত মাহাতোকে। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন অসিত। তৃণমূলে কি যোগ দিচ্ছেন? অসিতের জবাব, “জনগণ যা চাইবেন, তাই হবে।”
|
|
|
|
|
|