স্বাধীনতা দিবসের রাতে জোরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় বাড়িতে ঢুকে তিন মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল একটি ক্লাবের চার সদস্যের বিরুদ্ধে। হুগলির ত্রিবেণীর বৈকুন্ঠপুর এলাকার ঘটনা। প্রহৃত জ্যোৎস্না খাসকেল, তাঁর বোন শ্যামলী খাসকেল ও অনিতা দাসকে ওই রাতেই মগরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্যামলী ও অনিতাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন রয়েছেন চল্লিশোর্ধ্ব জ্যোৎস্নাদেবী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লাঠির ঘায়ে তাঁর মাথা ফাটে। হাতেও চোট লাগে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন জ্যোৎস্নাদেবী। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। বাকি এক জনের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওই রাতে আমতলায় জ্যোৎস্নাদেবীদের বাড়ির পাশের একটি ক্লাবের সদস্যেরা ‘চড়ুইভাতি’ করছিলেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাইক তারস্বরে গান বাজছিল। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জ্যোৎস্নাদেবী ক্লাবে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, আধ ঘণ্টা বাদে ক্লাবের চার যুবক জ্যোৎস্নাদেবীদের বাড়িতে চড়াও হয়। সেই সময়ে বাড়িতে তিন বোনই শুধু বাড়িতে ছিলেন। জ্যোৎস্নাদেবীর ভাই কেশবচন্দ্র খাসকেল ছিলেন না। হামলাকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে তিন বোনকে মারধর করে পালায় বলে অভিযোগ। মগরা থানায় ফোন করেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজন। রাতেই পুলিশ আসে।
দিলীপ কর্মকার নামে ওই ক্লাবের এক সদস্যের দাবি, “আমরা ওই পরিবারকে বলেছিলাম, খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে এসেছে। তাড়াতাড়িই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু ওঁরা শোনেননি। জ্যোৎস্নাদেবীর ভাই এসে প্রথমে আমাদের উপরে হামলা চালালেন। এক সদস্যকে মারধর করেন। তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়।” |