ভাণ্ডার সামলাতে ভলভো বাস এ বার পিপিপি মডেলে |
অর্থাভাবে জেরবার রাজ্য সরকারের নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। ফলে ‘জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন’ (জেএনএনইউআরএম) প্রকল্পে কেনা বাতানুকূল বাস চালানোর সামর্থও নেই পরিবহণ দফতরের। অগত্যা ভরসা বেসরকারি সংস্থা। এমনই ২০টি বাস শহরের পথে নামাতে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল পরিবহণ দফতর। অর্থাৎ, ‘প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ’ (পিপিপি) মডেলে অর্থ সংস্থানের জন্য বাসগুলি পথে নামছে। বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
প্রশাসন সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে পরিবহণ দফতরের কাছেই বাসগুলি পড়ে থাকলেও কোনও ক্রেতা মেলেনি। ফলে পরিবহণ দফতরও রাস্তায় নামাতে পারেনি বাসগুলিকে। আর্থিক ক্ষতি যেমন হচ্ছিল, তেমনই পড়ে থেকে থেকে বাসগুলি নষ্টও হয়ে যাচ্ছিল। পিপিপি মডেলে সেগুলি রাস্তায় নামানো হলে পরিবহণ দফতরের সঙ্কট কিছুটা কাটবে বলে আশা কর্তাদের। |
ওই বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণ নিগমের কাছ থেকে জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে বাসগুলি কেনা হয়েছে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ বাজারে প্রতিটি বাসের দাম ৫৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে সংস্থাকে দিতে হয়েছে প্রায় সাড়ে সাতাশ লক্ষ টাকা। বাকি খরচ দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য।
সংস্থার পক্ষে গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিন দশেকের মধ্যেই দশটি বাস চালানো হবে। ওই বাসগুলি বারাসত থেকে রওনা হয়ে এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেট, রাজারহাট, সল্টলেকের সেক্টর ৫, চিংড়িঘাটা, পার্ক সার্কাস, বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে সাঁতরাগাছি যাবে। এর পরে নতুন একটি রুটে আরও দশটি বাস নামবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বাসগুলিতে থাকবে মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা, জিপিএস-সহ নানা আধুনিক প্রযুক্তি। এর ন্যূনতম ভাড়া হবে ১৫ টাকা।
ওই বেসরকারি সংস্থার কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, শহরের বাইরে দিয়ে দু’টি লাগোয়া জেলার মধ্যে যাতায়াতকারীরা এই বাসের সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া, ওই এলাকা থেকে সেক্টর ফাইভে কাজ করতে আসা কর্মীদেরও সুবিধা হবে বলে তাঁদের দাবি। |