পুজোয় হাওয়া-ঘর
পুজোয় পর্যটকদের জন্য জয়ন্তী ও বক্সা পাহাড়ে রাতে থাকার জন্য তাঁবু তৈরি করছে বন দফতর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বুধবার স্বাধীনতা দিবসে জয়ন্তীতে পর্যটকদের বিশ্রাম ও খাওয়ার জন্য বিশাল আকারের ‘হাওয়া ঘর’ খুলে দিয়েছে বন দফতর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা জে ভি ভাস্কর জানান, ইতিমধ্যে জয়ন্তীতে পযর্টকদের রাত্রি বাসের জন্য চারটি তাঁবু টাঙানোর দরপত্র ডাকা হয়েছে। বন উন্নয়ন নিগম জয়ন্তী রেঞ্জের অফিসের পাশেই বৈদুতিক বেড়ার মধ্যে চারটি তাঁবু টাঙানো হবে। তাঁবুগুলির নীচে কংক্রিটের বাঁধানো মেঝে থাকবে। প্রতিটি তাঁবুর সাথে আলাদা শৌচাগার থাকবে। প্রায় ছয় লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই চারটি তাঁবু টাঙানো হবে। একেকটি তাঁবুতে দুজন করে পর্যটক থাকতে পারবেন। রাত প্রতি আনুমানিক এক হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতে পারে। বক্সা পাহাড়ের উপর বক্সা ফোর্টের কাছে বন দফরের ডরমেটরির সামনেও এই ধরনের দুটি তাঁবু হবে। তা ছাড়া সাউথ রায়ডাক বাংলো ও বারোবিশার শিলবাংলোর কাছে ও এই ধরনের তাঁবু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বন দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে জয়গাঁর কাছে রাঙ্গামাটি বন বাংলোর পাশে বন উন্নয়ন নিগমের তরফে এ ধরনের চারটি তাঁবু টাঙানো হয়।
—নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিক ভাবে পযর্টকদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হওয়ায় বন দফতর এবার জয়ন্তী ও বক্সায় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁবুগুলির জন্য পযর্টকরা বন উন্নয়ন নিগমের ওয়েবসাইটে থেকে বুকিং করতে পারবেন। পাশাপাশি তৈরির পরে তিন বছর ধরে নানা কারণে চালু না হওয়া হাওয়া ঘর’ স্বাধীনতা দিবসে খুলে দেওয়া হয়। জয়ন্তীর ইডিসি কমিটির মাধ্যেমে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে চুক্তির ভিক্তিতে পর্যটকদের জন্য বন দফতরের তৈরি হাওয়া ঘর চালানোর অনুমতি দিল। এখানে পর্যটকরা দিনের বেলায় বিশ্রাম নিতে পারবেন ও খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। জে ভি ভাস্কর বলেন, “১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকেরা দিনের হাওয়া ঘরে বিশ্রাম নিতে পারবেন। খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন। যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই হাওয়া ঘরটি চালাবে। তারাও আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। তা ছাড়া জয়ন্তীর ১৫ জন যুবককে নতুন করে গাইডের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পর্যটন মরশুমে তাঁরা পর্যটকদের ঘোরাবেন। অন্য সময় বনদফতরকে জঙ্গল সংরক্ষণ কাজে সহায়তা করবেন।” জয়ন্তী গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক তথা টুরিস্ট গাইড ইউনিয়নের সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য জানান, কয়েক বছর আগে জঙ্গলে ২০১০ সালে ‘কার সাফারি’ বন দফতরের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায়। তার পর জয়ন্তী বনবাংলোটি ২০১১ সালের অগস্টে মাসে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসা বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। বন দফতর তাঁবু তৈরির সিদ্ধান্তে ও হাওয়া ঘর খুলে দেওয়ার ইতিবাচক পদক্ষেপে আসন্ন পর্যটন মরশুমে জয়ন্তীতে ফের পর্যটকদের ঢল নামবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.