নারী পাচারকারী সন্দেহে এক মহিলাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের বারমেসিয়া গ্রামের ঘটনা। যদিও সোনিয়া মুর্মু নামে ওই আদিবাসী বধূর দাবি, বাসিন্দারা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট থানার রানিপাহাড়ি গ্রামের সোনিয়া মুর্মু গত কয়েক বছর ধরে রামপুরহাট থানা এলাকার হরিনাথপুর, ভাটিনা, বারমেসিয়া, রানিপাহাড়ি প্রভৃতি এলাকা থেকে আদিবাসী মেয়েদের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যেতেন। কিন্তু তারপরে আর ওই মেয়েদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। বারমেয়িসা গ্রামের যোহন মুর্মু, কর্নেল সোরেনদের অভিযোগ, “কাজে যাওয়া ওই মেয়েদের সঙ্গে তার পরিবার আর কখনও যোগাযোগ করতে পারে না।” ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সুনীল কিস্কুর দাবি, “আমার এক পরিচিত, রামপুরহাট থানার ভাটিনা গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন মুর্মুর মেয়ে দিদিমণি মুর্মুকে সোনিয়া পাঁচ বছর আগে নয়া দিল্লিতে কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে দিদিমণির আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই মহিলা এলাকার প্রায় ৫০-৬০ জন মেয়েকে নিয়ে গিয়ে পাচার করে দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এর আগে সোনিয়াকে মেয়েদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য বারবার ডাকা হলেও তিনি আসেননি। এ দিন নতুন মেয়ের টোপ দিতেই সোনিয়া ভটিনা গ্রামে হাজির হয়ে যায়। এরপরেই তাঁরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্ত মহিলার অবশ্য বলেন, “৫ বছর ধরে পুনের সন্দীপ পটেল নামে এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার মেয়েদের কাজ দিচ্ছি। তাদের নয়া দিল্লির অভিজাত বাড়িতে রান্না থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ দেওয়া হয়।” পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর দাবি, “নয়া দিল্লির এক গাড়ি চালকের সঙ্গে দিদিমণি মুর্মু পালিয়ে গিয়েছে।” |