ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ‘আশ্রয়ে’র খোঁজে দল বেঁধে এ পারে চলে আসা অব্যাহত। আর এর হাত ধরেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে এক নতুন মোড় এসেছে।
প্রাথমিক ভাবে গোটা বিষয়টিকে ‘মানবিক দিক’ থেকে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। উদ্বাস্তুদের আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) দেওয়া সম্ভব না হলেও ‘কিছু ব্যক্তির’ ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর (আবেদনের ভিত্তিতে) কথাও ভাবছে মনমোহন সরকার। সরকারি ভাবেও আজ বলা হয়েছে যে, যথাযথ ভাবে আবেদন করলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে। নয়াদিল্লির তরফে যতই সংযত প্রতিক্রিয়া দেখানো হোক, গোটা ঘটনায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রশ্নে পাকিস্তানের ‘প্রকৃত ছবি’ দুনিয়ার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসলামাবাদকে চাপে রাখার জন্য নয়াদিল্লির কাছে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই কৌশলেই ভারত চাপ বজায় রাখছে।
কূটনৈতিক শীর্ষসূত্রের বক্তব্য, বিষয়টি যে স্পর্শকাতর, সে কথা মাথায় রেখে একটি নির্দিষ্ট কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ভারতকে বিভিন্ন দেশের ‘উদ্বাস্তুদের ঘাঁটি’ হিসেবে দেখাটা ঠিক নয়। পাক-হিন্দুদের সাহায্য করতে গিয়ে এমন কিছু করা হবে না, যাতে দেশের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক স্তরে জটিলতা তৈরি হয়। তাই সরকার নিজে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়নি। তবে পাকিস্তানে হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। গলা মিলিয়েছে অন্যান্য দলও। এই অবস্থায় আগামী মাসে বিদেশমন্ত্রী কৃষ্ণের ইসলামাবাদ সফরের আগে বিষয়টি যে মনমোহন সরকারের হাতে না-চাইতেই নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। |