বুধবার সন্ধ্যায় ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন ডিএসপি সংক্রান্ত বিষয়ে গণ্ডগোল বাধেনি। তবে দু’পক্ষে শেখ সাহাবুদ্দিন ও শেখ শরিফুদ্দিনের লোকজনই ছিলেন বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর। বচসা থেকে হাতাহাতি বাধে। বোমাবাজিতে এলাকার মানুষ সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠেন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। তত ক্ষণে গুলিও চালাতে শুরু করেছে দুষ্কৃতীরা। সন্তোষ ঘোষাল নামে এক পুলিশকর্মীর মাথা ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এলাকায় পৌঁছয় র্যাফ। শেখ সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ আরও চার জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ঘটনায় যুক্ত অনেকেই চম্পট দিয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে। দু’পক্ষের মোট ৪ জন জখম হয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুই গোষ্ঠীর বিবাদে বসবাস করা মুশকিল হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই অশান্তি বাধে। এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, বুধবার রাতের ঘটনায় জড়িত সবাইকে ধরা হবে।
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় অবশ্য আমরাইয়ে তাঁদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, স্থানীয় বিবাদ থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাঁর কথায়, “আমরাইয়ের ঘটনার পিছনে আইএনটিটিইউসি-র কোনও দ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই।” |