মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব এড়ানো অনুচিত বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করলেন প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিম।
বিধানসভার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ দিনে ‘সংসদ বা বিধানসভায় প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা’ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় বিশেষ কোনও মুখ্যমন্ত্রীর
নাম না-করলেও হালিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভাকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। প্রশ্নোত্তর পর্বে তাঁকে অংশ নিতেই হবে।”
নতুন সরকার আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা সময়ে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব বা বাজেট আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছেন বলে বিরোধীরা বারবার সরব হয়েছেন। ফলে হালিমের মন্তব্য মমতাকে লক্ষ করেই বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। ঘটনাচক্রে, হালিমের বক্তব্যের সময় সভায় ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। কিছু পরে তিনি সভায় আসেন। |
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেজেছে মহাকরণ। মঙ্গলবার সুদীপ আচার্যের তোলা ছবি। |
বিধানসভা কক্ষে আলোচনা সভায় স্পিকারের আসনেই বসেছিলেন রাজ্য বিধানসভার রেকর্ড সময়ের স্পিকার হালিম। সভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ছাড়া বিতর্ক বা সরকারের কাজকর্মের আলোচনা অর্থহীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী যাতে নিয়মিত সভায় উপস্থিত থাকতে ‘বাধ্য’ হন, সে বিষয়ে স্পিকারেরও ‘তৎপরতা’ প্রয়োজন বলে দাবি করেন হালিম। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাতে সভায় থাকেন, তা দেখার দায়িত্ব স্পিকারেরও। তাঁর দেখা উচিত একটা প্রশ্নও যাতে বাদ না যায়!” তাঁর জমানার উদাহরণ টেনে হালিম বলেন, “আমার সময় একবার জ্যোতিবাবুর (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু) প্রশ্ন বাদ যাচ্ছিল। উনি আমায় বলেন, ওঁর প্রশ্নোত্তরের জন্য একটা নির্দিষ্ট দিন বরাদ্দ করতে। একটা দিন ওঁর জন্য নির্দিষ্ট থাকত। সে দিন শুধু উনিই প্রশ্নের উত্তর দিতেন।”
এমনকী, একবার প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখ্যমন্ত্রীর (কারও নাম করেননি) অনুপস্থিতির জন্য তিনি সভায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন বলেও জানান হালিম। এর পরেই তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভাকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘গরহাজিরা’ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু দিন আগে সভায় মমতা পাল্টা জানিয়েছিলেন, তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে ভীত নন। তার পরেও অবশ্য বিরোধীরা তাঁদের বক্তব্য থেকে সরে আসেননি। হালিমের মন্তব্য তাই ‘ভিন্ন মাত্রা’ পেয়েছে। |