কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে আগেই হানা দিয়েছিল হ্যাকারেরা। এ বার তাদের হানা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ওয়েবসাইটে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ এই ব্যাপারে কালীঘাট থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওয়েবসাইটে দলের চেয়ারপার্সন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য একটি নির্দিষ্ট ‘পেজ’ (দিদি’জ ডায়েরি)-এ লেখা থাকে। ‘ডায়েরি’র পাতায় লেখা থাকে মুখ্যমন্ত্রীর রোজকার বক্তব্য ‘চেয়ারপার্সন স্পিকস’ অর্থাৎ ‘চেয়ারপার্সন বলেন’। সেখানে ১৪ অগস্টের পাতাটি ‘হ্যাক’ করা হয়েছে। ওই পাতার একটি জায়গা ‘ক্লিক’ করলে খুলেছে ‘অ্যানোনিমাস ইন্ডিয়া’র ফেসবুক-এর ‘পেজ’। ওই পেজে রয়েছে একটি ‘লিঙ্ক’। অভিযোগ, ওই ‘লিঙ্ক’ থেকে যে-‘পেজ’ খুলছে, তাতে ‘চেয়ারপার্সন স্পিকস’-এর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে ‘মাওবাদী’ বলে দাবি করেছেন। সেখানে অশ্লীল শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ রাত ১১টা নাগাদ পেজটি ‘রেস্টোর’ করেছে। খোঁজ চলছে ‘অ্যানোনিমাস ইন্ডিয়া’ নামধারী হ্যাকারের।
|
দারিদ্রসীমার নীচের বাসিন্দাদের (বিপিএল) তালিকা আবার সংশোধন করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার মহাকরণে বলেন, বিপিএল তালিকা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যাঁদের নাম এপিএল তালিকায় থাকার কথা, বিপিএল তালিকায় ঠাঁই হয়েছে তাঁদেরও। আবার বিপিএল তালিকায় যাঁদের নাম থাকা উচিত, তাঁদের নাম উঠে গিয়েছে এপিএল তালিকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এই ধরনের অভিযোগ বেশি।
|
পণ্য প্রবেশকর আদায়ের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সোমবার এক অন্তর্বর্তী রায়ে পণ্যের ‘অ্যাসেসমেন্ট’ বা মূল্যায়ন নিয়ে বলা হয় যে, আদালতের অনুমোদনসাপেক্ষে তা করতে হবে। সরকারি বিবৃতিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করে জানানো হয়, পণ্য আমদানিকারীরা তাঁদের ‘রিটার্ন’ দাখিলের কাজ অব্যাহত রাখবেন। অতএব রিটার্ন দাখিল করা এবং প্রবেশকর আদায়ের উপরে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। |