স্বাধীনতা দিবসের আগে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বসিরহাট সীমান্ত এলাকায়। কড়া নজরদারি চলছে নদীপথেও। বিএসএফ এবং পুলিশ বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, আদালত-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের সামনেও নজরদারি চালাচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বসিরহাট সীমান্তে বাংলাদেশের সিম কার্ড বিক্রি সবচেয়ে বড় সমস্যা। সিম কার্ডের জন্যই অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এ পারে আসা দুষ্কৃতীদের গতিবিধি সম্পর্কে অন্ধকারে থাকছে বিএসএফ এবং পুলিশ। দু’টি সিম কার্ড একসঙ্গে ব্যবহার করা যায় এমন মোবাইল ও আধুনিক সরঞ্জাম বসিরহাটের ঘোজাডাঙা, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ এবং স্বরূপনগরের সীমান্ত লাগোয়া বাজারগুলিতে বিক্রি হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিশ প্রশাসনের। এক গোয়েন্দা অফিসার জানান, কারও মোবাইলে দু’দেশের সিম কার্ড থাকায় আগে থেকেই সে বিএসএফ এবং পুলিশের গতিবিধি সম্পর্কে দুষ্কৃতীদের সতর্ক করে দিচ্ছে। পুলিশ ও বিএসএফের মতে ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে ও পারে যাওয়া লরির চালক ও খালাসির মাধ্যমে সিম কার্ড আদান-প্রদান হয়। বাংলাদেশ থেকে গরু পাচারকারীরাও আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে এদেশে আসছে। স্বরূপনগর থেকে সুন্দরবনের সামশেরনগর পর্যন্ত সীমান্তের ২২১ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হলেও বর্তমানে তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে বেআইনি অনুপ্রবেশ এবং পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় উন্নত প্রযুক্তির আলো লাগানো হয়েছে। আনা হয়েছে ‘নাইট ভিশন ক্যামেরা’। সীমান্তে নজরদারিতে বিএসএফের ৩৫টি বর্ডার আউট পোস্ট, ৩টি ভাসমান আউট পোস্ট এবং ২৫টি স্পিড বোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। |