বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতি এবং বিডিও অফিসের উদ্যোগে মঙ্গলবার ভূমিহীনদের মধ্যে পাট্টা বিলি করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। এ ছাড়া ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত, বিডিও সুশান্ত বসু, অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, ব্লক ভূমি ও রাজস্ব আধিকারিক কিরীটিপ্রসাদ সিংহ, মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সৌমেনবাবু বলেন, “ব্লকের ২০১ ভূমিহীন মানুষের মধ্যে এ দিন ৩১ একর ২০ শতক পাট্টা বিলি হয়েছে।” তিনি জানান, পাট্টা পাওয়া এলাকার লোক গৃহ নির্মাণের আবেদন করলে ‘নিজ ভূমি নিজ গৃহ’-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। চাষের কাজে ঋণের আবেদন করলে সে ব্যবস্থাও করা হবে।
|
বসিরহাটে দুষ্কৃতী হামলায় জখম কংগ্রেস নেতা |
মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। সোমবার রাতে বসিরহাটের উত্তর গুলাইচণ্ডী গ্রামের ঘটনা। গুরুতর আহত বাবলু মণ্ডলকে ওই রাতে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ দিকে, বসিরহাট থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে এলাকার যুব কংগ্রেস নেতা বাবলুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের লোক। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বাবলুর বিরুদ্ধে টাকি রাস্তার ধারে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময়ে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোল হয়। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন বাবলুবাবু। অভিযোগ, সেই সময় গুলাইচণ্ডীর ঘোষপাড়ার কাছে কে বা কারা বাবলুবাবুর চোখে টর্চের আলো ফেলে। তা নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। সেই সময় পিছন থেকে বাবলুবাবুর মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ব্যক্তিগত কারণে কেউ ওই কংগ্রেস নেতাকে আক্রমণ করতে পারে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত নয়।
|
বালকের গায়ে ছেঁকা, অভিযুক্ত দোকানি বেপাত্তা |
চায়ের দোকানে ১০ টাকার নোট দিয়ে তিন টাকার চা কিনেছিল ছেলেটি। অভিযোগ, বাকি ৭ টাকা ফেরত আনতে গেলে তাকেই উল্টে ‘চোর’ অপবাদ দেন দোকানি। বছর আটেকের ছেলেটিকে মারধর করে গরম লোহার রডের ছেঁকাও দেন। নৈহাটির গরুরফাঁড়ি এলাকায় সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও থানায় অভিযোগ দায়ের করতে ‘ভয়’ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শেখ সাবির ওরফে বাদশা নামে ওই ছেলেটির মা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চায়ের দোকানের মালিক বেপাত্তা। গরুরফাঁড়ি এলাকার কারিগর পাড়ায় থাকে বাদশা। মাংসের দোকানে কাজ করে। সোমবার সকালে কাছেই একটি দোকানে চা আনতে গিয়েছিল সে। ছেলেটি বলে, ‘‘আমার খুব খিদে পেয়েছিল বলে রাতে বাকি টাকা চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দোকানদার আমাকে মারধর করে। বলে টাকা নাকি সে দিয়ে দিয়েছে। আমি চেঁচামেচি করায় গরম লোহার শিক দিয়ে ছেঁকা দিল।’’ সাবিরকে নৈহাটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এলাকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে বাদশার বাড়িতে যায় পুলিশ। |