|
|
|
|
পুরসভায় ঢুকতে বাধা |
পূর্বে এসপি-র দ্বারস্থ বামফ্রন্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
হলদিয়া পুরসভার অফিসে বামফ্রন্ট পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধান-সহ ১৫ জন কাউন্সিলরকে তৃণমূলের লোকেরা ঢুকতে দিচ্ছে না বলে পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানালেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার সিপিএম জেলা সম্পাদক কানু সাহুর নেতৃত্বে জেলা বামফ্রন্টের নেতারা তমলুকে পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে লিখিত স্মারকলিপি দেন। বাম নেতাদের অভিযোগ, হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠের বিরুদ্ধে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবানীপুর থানায় গত ২৩ জুলাই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ভাবে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি পুরসভার অফিসের প্রবেশপথে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা অবরোধ করে পুরপ্রধান-সহ বামফ্রন্টের কাউন্সিলরদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পুরসভায়। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
কানুবাবুর অভিযোগ, ‘‘তমালিকাদেবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দেয় ও পুরসভার প্রশাসনিক কাজও তিনি স্বাভাবিক ভাবে করতে পারবেন বলে জানিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও তৃণমূলের তরফে নানা ভাবে পুরসভার কাজকর্মে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “হলদিয়ার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এলাকাবাসীরা জবাব চেয়ে অফিসে জড়ো হচ্ছেন। পুরপ্রধান জবাব এড়াতে অফিসে আসছেন না। আর জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, “পুরপ্রধানকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|