পিটারসেনকে নিয়ে বিভক্ত ক্রিকেটাররা
কেভিন পিটারসেন কোন দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার? তাঁর মাতৃভূমি দক্ষিণ আফ্রিকার? নাকি ইংল্যান্ডের? পিটারসেনের এসএমএস বিতর্কের জেরে দু’ভাগ ক্রিকেটমহল।
শেন ওয়ার্ন ব্যাট ধরেছেন পিটারসেনের হয়ে। বলেছেন, “একটা দলের মধ্যে কেউ অন্য কাউকে অপছন্দ করতেই পারে। কিন্তু টিমকে এককাট্টা করে রাখার দায়িত্বটা অধিনায়ক আর কোচের।” পিটারসেনকে আলতো সমালোচনা করেও ওয়ার্ন গোটা বিতর্ক ও তার পরিণতির জন্য অ্যান্ড্রু স্ট্রস-অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার জুটিকে দায়ী করেছেন। “কেভিনও কিছু বোকা বোকা কাজ করে ফেলেছে। কিন্তু ও যে ইংল্যান্ড টিমের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সেই বিশ্বাসটা ওর মধ্যে বপন করতে পারেনি স্ট্রস বা ফ্লাওয়ার কেউই। সেটা পারলে ইংল্যান্ড দলের মধ্যে এই বিভাজন ঘটত না। ওদের এক নম্বর র্যাঙ্কিং হারানোর মতো অবস্থাও হত না।”
হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের শেষ টেস্ট ম্যাচেও সেঞ্চুরি আছে পিটারসেনের। কিন্তু ইংল্যান্ড শিবিরের কিছু বিতর্কিত কাহিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকজন ক্রিকেটারকে এসএমএস করে দলবিরোধী কাজের অভিযোগের মুখে পড়েন প্রোটিয়া-জাত ইংল্যান্ড মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। সাংবাদিক সম্মেলন করে ‘‘ইংল্যান্ডই আমার ধ্যানজ্ঞান’’ বলা সত্ত্বেও চিঁড়ে ভেজেনি। বরং লর্ডসে সিরিজের শেষ টেস্টের দল থেকেই বাদ পড়েন তিনি।
এ দিন পিটারসেনের সতীর্থ গ্রেম সোয়ান আরও একধাপ গলা চড়িয়ে বলেছেন, “স্রেফ একটা প্লেয়ারকে হারাতে হচ্ছে বলে আমরা যে দুর্বল দল হয়ে গেলাম তা মোটেই নয়। পিটারসেনকে ছাড়াই কী করে ভাল খেলতে হয় সেটা আমাদের দেখাতে হবে। কেভিন সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে ইংল্যান্ড দু’ধরনের সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই অপরাজিত। তা হলে টেস্ট ক্রিকেটেও বা সেটা আমরা করে দেখাতে পারব না কেন?”
দক্ষিণ আফ্রিকা ড্রেসিংরুম আবার ভাবতেই পারছে না, পিটারসেনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন শেষ। কালিস বলছেন, “কেভিন যে আবার ফিরে আসবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আমি আরও নিশ্চিত, ওর সঙ্গে ইংল্যান্ডের ঝামেলা মিটে যাবে।”
সে রকম ভাবছে ক্রিটেমহলও। কারণ এ দিনই ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের সম্পাদক পিয়ার্স মর্গ্যান বোমা ফাটিয়েছেন, পিটারসেন-বিতর্কে এমন দু’জন ক্রিকেটারও জড়িত যাঁরা ইংল্যান্ডের হয়েই খেলেন এবং যাঁদের ব্যাঙ্গাত্মক টুইটে পিটারসেন স্বয়ং ক্ষুব্ধ। তাঁরা হলেন স্টুর্য়াট ব্রড এবং অ্যালেক্স হ্যালেস, যিনি ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি দলে পিটারসেনের জায়গাতেই ঢুকেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সতীর্থদের টুইটে ক্ষুব্ধ হয়েই কি পিটারসেনও পালটা এসএমএস করেছিলেন ইংল্যান্ড ড্রেসিংরুমের কিছু খারাপ ঘটনা নিয়ে? তবে পিটারসেন যে বিতর্কিত কাজ করেছেন সেটা নিঃসন্দেহ? এখন দেখার এর থেকে তিনি কী করে বেরিয়ে আসেন?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.