আগামী মরসুমে পুণে এফ সি প্রথম দলেই খেলাতে পারে ‘চার বিদেশি’কে। তা-ও আইন মেনেই। কারণ, আরাতা ইজুমি আর জাপানি নয়, পুরোপুরি ভারতীয়।
প্রায় এক বছর আগে আরাতা আবেদন করেছিলেন ভারতীয় নাগরিকত্বের। তারও আগে ২০১০-এর জুলাইয়ে বিয়ে করেছেন মরাঠি মেয়ে শ্বেতা মানেরিকরকে। তার পর থেকেই ভারতীয় নাগরিকত্ব নেওয়ার ইচ্ছা জন্মায়। সেই সময় নিজের জন্য একটা ভারতীয় নামও বেছেছিলেন--নীলকণ্ঠ। আরাতা বলছিলেন, “এখন আমি পুরোপুরি ভাবে ভারতীয়। জাপানের নাগরিকত্ব আর নেই। তবে মা এবং পরিবারের অন্যরা জাপানেই থাকে। আমি ছুটিতে যাব, যেমন যেতাম।” তবে, এখনই বিদেশে যেতে পারবেন না। কারণ, ভারতীয় পাসপোর্ট এখনও হাতে পাননি। আরও জানান, নীলকণ্ঠ নামটা ব্যবহার করতে পারবেন না। সরকারি নথিতে তাঁর নাম আরাতা ইজুমি-ই।
এ দিকে আরাতা ভারতীয় হয়ে যাওয়ায় পুণে এফ সি অন্য এক জন এশীয় কোটার ফুটবলার নিতে পারবে। এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি পুণের ক্লাব কর্তারা। ম্যানেজার অশোক কুমার বলেন, “জানি আরাতা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছে। তবে এশীয় কোটার ফুটবলার ক্লাব নেবে কি না সে ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।” আরাতা-ও বললেন, “এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।” কোচ ডেরিক পেরেরা অবশ্য স্বীকার করে নিলেন, নতুন এশীয় কোটায় ফুটবলার খোঁজার কথা। তাঁর বক্তব্য, “আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এশীয় ফুটবলার বাছব। তার জন্য ট্রায়ালও হবে।” একটি সূত্র অনুযায়ী, চলতি মাসেই পুণে এফ সি-র জন্য ট্রায়ালে আসছেন বিভিন্ন এশীয় ফুটবলার। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার মহমেডান স্পোর্টিংয়ে খেলে যাওয়া কোরিয়ান মিডফিল্ডার হ্যান উক। আগের দুই বিদেশি ডুহু পিয়েরে এবং চিকা ওয়ালি তো আছেনই। তার সঙ্গে জেমস মোগাকে সই করিয়েছে পুণে।
ভারতীয় হয়ে যাওয়ায় আরাতা কি পারবেন ভারতের জাতীয় দলের নীল জার্সিতে নবি-সুনীলদের সতীর্থ হতে? ফেডারেশনের এক কর্তার কথায়, “ভারতের পাসপোর্ট থাকলে তো খেলতে অসুবিধা নেই।” তবে সে ক্ষেত্রে আরাতার বিরুদ্ধে যাবে তাঁর বয়স। ৩০ বছরের এই মিডফিল্ডারের ভারতের জাতীয় দলে ঢোকা বেশ কঠিন।
সে সব নিয়ে এখন মাথা ঘামাচ্ছেন না আরাতা। ভারতের নতুন নাগরিক এখন আপাতত ব্যস্ত মরাঠি শিখতে। শিখতে চেষ্টা করছেন জাতীয় সঙ্গীতও। |