|
|
|
|
ঘোষণা সার, ঈদের বরাদ্দ অমিল রেশনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রমজান মাস শুরু হয়েছে অনেক আগেই। ঈদ এল বলে। অথচ, সরকারি ঘোষণা মতো রমজান মাসে রেশনে কম খরচে চাল, ডাল, তেল, ময়দা ও চিনি এখনও পেল না সাধারণ মানুষ।
বাঙালির দু’টি বড় উৎসবের মধ্যে একটি হল ঈদ, অন্যটি শারদোৎসব। এই দুই উৎসবের সময়েই এক মাস ধরে সাড়ে ৪৩ টাকায় ৫০০ মিলিলিটারের সরিষা তেলের প্যাকেট, ৩৯ টাকায় সাধারণ রিফাইন ৫০০ মিলিলিটার তেলের প্যাকেট, ৪৫ টাকা কেজি দরে ছোলার ডাল, ১৪ টাকা কেজি দরে ময়দা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। আর বিপিএল ও অন্তোদেয়ের জন্য সাড়ে ১৩ টাকা কেজি দরে চিনি ও এপিএলদের জন্য ২৬ টাকা কেজি দরে চিনি দেওয়ার কথা। খোলাবাজারে যার দাম ৩৬ থেকে ৪০ টাকা। দুর্গাপুজো এখনও অনেক দেরি। তার জন্য ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রেশনে এই সব সামগ্রী বণ্টনের কথা। কিন্তু রমজান শুরু হয়ে গিয়েছে জুলাই মাস থেকে। চলতি মাসের ২০ তারিখ ঈদ। ২১ জুলাই থেকে ২০ অগস্ট পর্যন্ত রেশনে এই সব খাদ্যসামগ্রী কম দামে দেওয়ার কথা ছিল। যদিও এখনও সেই সামগ্রী বন্টন হওয়া দুরের কথা জেলাস্তরেই বরাদ্দ পৌঁছয়নি। আশার বানী শুনিয়েও এই বঞ্চনায় ক্ষুব্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতা মহম্মদ মহসিন বলেন, “আমরা প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে বারবার জানিয়েছি, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দ্রুত খাদ্যশস্য বণ্টনের চেষ্টা করুন। নতুবা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। ঈদ শেষ হয়ে গেলে ঈদের বরাদ্দ পেয়ে কী লাভ!”
ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রেশন ডিলারদের মধ্যেও। পশ্চিমবঙ্গ এমআর ডিলার ও কেরোসিন অয়েল জাতীয়তাবাদী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কাঞ্চন খান বলেন, “খাদ্য দফতরের নীচু তলা থেকে পদস্থ আধিকারিকপ্রত্যেকের কাছে দাবি জানিয়েছি। কাজ হয়নি। সাধারণ মানুষ তো আমাদের মতো ডিলারদের কাছে প্রশ্ন করছেন। আমরা কী উত্তর দেব?” খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বরাদ্দ এলেই দ্রুত বণ্টনের ব্যবস্থা করা হবে।” কেন এখনও বরাদ্দ এসে পৌঁছয়নি? এ বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সংস্থাকে এই সব খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের বরাত দেওয়া হয়েছিল, সেই সংস্থার গড়িমসিতেই সঠিক সময়ে বরাদ্দ এসে পৌঁছয়নি। দ্রুত এই সব সামগ্রী পাঠানোর জন্য রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করছে। কিন্তু আর মাত্র ৫ দিন পরে ঈদ। এরপর কবে বরাদ্দ আসবে আর কবেই বা তা বণ্টন করা হবেতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। |
|
|
|
|
|