পরিকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস
শালবনিতে আইটিআই-এর উদ্বোধন
রিকাঠামোগত নানা সমস্যা রয়েছে আইটিআই-এ। এই সব পরিকাঠামোগত সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যের ৯৩টি ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুলকে মডেল স্কুলে রূপান্তরিত করা হবে। এ রাজ্যে পাইলট প্রোজেক্টে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। বরাদ্দ অর্থে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ হবে।”
বেসরকারি উদ্যোগে শালবনি এলাকার বাঁকিবাঁধে গড়ে ওঠা আইটিআই-এর উদ্বোধন করতে মঙ্গলবার জেলায় এসেছিলেন মন্ত্রী। চলতি বছরের ১০ ফ্রেব্রুয়ারি তিনিই এই আইটিআই-এর শিলান্যাস করেছিলেন। মাত্র ৫ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হল। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। ইলেকট্রিসিয়ান, ফিটার, মেকানিক মোটর ভেহিক্যাল-সহ মোট ১০টি বিষয়ে পড়ানো হবে। আসন সংখ্যা প্রায় ৫০০। আইটিআই-এর ডিরেক্টর অসিতকুমার ঘোষ বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাতেও শিল্পের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে কাজের সুযোগ বাড়বে। জঙ্গলমহল এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কারিগরি শিক্ষা দিয়ে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।” মন্ত্রী জানান, রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে আইটিআই গড়ে তোলা হবে। সরকার ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিপিপি মডেলে আইটিআই তৈরি হবে। এর ফলে অনেকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে।
—নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৯টি ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম ব্লকে আগে থেকেই আইটিআই রয়েছে। আরও ৩টি ব্লকে আইটিআই করার জন্য আগেই উদ্যোগী হয়েছিল জেলা প্রশাসন। বাকি ২৪টি ব্লকে নতুন করে আইটিআই তৈরি করা হবে। এর জন্য জমি দেখার নির্দেশ এসেছে। এক-একটি আইটিআইয়ের জন্য অন্তত ৩ একর করে জমির প্রয়োজন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের জমি দেখতে বলা হয়েছে। বিডিওদেরও পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হয়েছে।
রাজ্যে নতুন সরকার শুরু থেকেই কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে। পলিটেকনিক, আইটিআই তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন ভোকেশনাল কোর্সও পড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। শালবনিতে এখন জিন্দল প্রকল্পের কাজ চলছে। গ্রামবাসীরা মনে করছেন, প্রস্তাবিত প্রকল্প চালু হবে এলাকার পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। প্রচুর বেকার ছেলেমেয়ে কাজ পাবে। এর ফলে এক দিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকছে, অন্য দিকে মূল কারখানাকে কেন্দ্র করে আরও ছোট-ছোট কারখানা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিন মন্ত্রী জানান, ‘পিছিয়ে পড়া’ এলাকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানে রাজ্য বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। জঙ্গলমহলকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চলছে। এর ফলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা হাতে কলমে কাজ শিখে স্বনির্ভর হতে পারবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.